নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নজরে সৎ রঞ্জনের জামাই জয়ন্ত দাস

নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে সৎরঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের জামাই জয়ন্ত দাস পেশায় শিক্ষক। এবার তাঁর নিয়োগ নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। এদিকে জয়ন্তর দাবি, সংরক্ষিত কোটায় তিনি চাকরির আবেদন করেন। কিন্তু সরকার তাঁকে জেনারেল কোটায় চাকরি দেয়। সরকার ভুল করলে তাঁর কিছু করার নেই বলেও জানান জয়ন্ত। রঞ্জন প্রথমে চাকরি পান হাওড়া জেলায়। স্ত্রীর সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বদলি হন। বারাসত প্যারীচরণ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে গত ২ বছর ধরে চাকরি করছেন জয়ন্ত। বদলি ও চাকরির বৈধতা নিয়ে ৭৮ জন চাকরিপ্রার্থী জয়ন্ত-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলা এখন হাই কোর্টে বিচারাধীন।

এদিকে জয়ন্তর দাবি, তিনি সত্‍ ভাবেই চাকরি পেয়েছেন। তাঁর নিয়োগে দুর্নীতি নেই। চাকরি পাওয়ার সঙ্গে শ্বশুর চন্দন মণ্ডলেরও কোনও যোগ নেই। জয়ন্তর কথায়, ‘আমি যখন আবেদন করি, তখন আমার এসসি সার্টিফিকেট ছিল না। ২০১১ সালে সার্টিফিকেট হাতে পাই, তখন আমি জমা করি। কিন্তু ওঁরা আমার নাম জেনারেলে পুট করে ফেলেছেন।’

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, জয়ন্ত দাস, যিনি কিনা সৎরঞ্জনের জামাই,তিনি কীভাবে বারাসতের স্কুলে পৌঁছলেন তা নিয়ে। ২০০৯ সালে হাওড়া জেলায় চাকরি পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি সংরক্ষিত কোটায় চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর সংরক্ষিত কোটার চাকরি নিয়ে ১৭ জন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ উঠছে, সেই ১৭ জনকে আবার চন্দন মণ্ডলের প্রভাবেই চাকরি দেয় সরকার। অর্থাৎ অভিযোগ এমনই, যখন সৎরঞ্জনের জামাইয়ের চাকরি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তখন ১৭ জনের চাকরি ব্যবস্থা করেন। এঁদের ওপর আবার প্রভাব বিস্তার করেন জয়ন্ত দাস। এদিকে তাঁর স্ত্রী যখন অন্তঃসত্ত্বা হন, তখন তিনি হাওড়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। বর্তমানে বারাসত উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। এদিকে বারাসত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে তিনি এসেছেন ডেপুটেশনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − four =