উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে কলকাতা হাই কোর্টে বিশ্বভারতীর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরকে চাইল্ড কেয়ার লিভ মঞ্জুর সংক্রান্ত মামলায় বেশ অস্বস্তিতে উপাচার্য।২০২২-এ এই মামলায় উপাচার্যকে জরিমানার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কের পর এক অধ্যাপকের করা মামলায় জরিমানা ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ে আবারও অস্বস্তিতে বিশ্বভারতী।
এই ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে অধ্যাপক দেবতোষ সিনহা এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের চাইল্ড কেয়ার লিভ মঞ্জুর করা নিয়ে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মেনেই ছুটি মঞ্জুর করেন বলে দাবি অধ্যাপকের।তাতে অনুমোদনও ছিল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।কিন্তু আচমকাই এক বছর পর দেবতোষ সিনহাকে চিঠি করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রীতিমতো কৈফিয়ত চান, কেন তিনি ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন। এরপর জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতে অধ্যাপক দেবতোষ সিনহার আইনজীবী সুবীর সান্যাল হাইকোর্টে সওয়াল করেন, নিয়ম মেনে ছুটি মঞ্জুর করার পরও তাঁর মক্কেলের এই চিঠি উপাচার্যের কাছ থেকে পাওয়া কাম্য নয়।কারণ, তিনি নিয়ম মেনেই ছুটি মঞ্জুর করেছেন। ফলে তিনি কোনও অন্যায় করেননি। শুনানির পর বিচারপতি কৌশিক চন্দ গত ডিসেম্বর মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। উপাচার্যের এই চিঠি বাতিলেরও নির্দেশ দেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ না দিলে, সেই টাকা উপাচার্যকেই দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট এবং সেই টাকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন উপাচার্য।
এরপর সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়কেই বহাল রাখা হল।অর্থাৎ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবর্তমানে উপাচার্যকেই ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।