হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে খুঁজে না পাওয়া গেলেও তাঁর ফ্ল্যাটে আবর্জনার স্তূপে উদ্ধার হয় দু’টি কাগজ যেখানে নজরে আসে ছাপার অক্ষরে লেখা একাধিক সিরিয়াল নম্বর এবং রোল নম্বরের মতো বেশ কিছু সংখ্যা। আর এই কাগজের টুকরো ঘিরেই বাড়ছে রহস্য। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে তবে কি নিয়োগ-চক্রে এবার জড়াতে চলেছেন গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীও কি না। সূত্রে খবর, বেহালায় হৈমন্তীর ঘরের বাইরে থেকে শনিবার এই কাগজ উদ্ধার হয়। এই কাগজের টুকরোতে লেখা নম্বর দেখে শিক্ষামহলের একাংশ এবং তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, এগুলো আসলে রোল নম্বরই। কারণ, সাধারণত ৯ ডিজিটের রোল নম্বর হয় চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে। উদ্ধার হওয়া কাগজে ৯টি নম্বরই লেখা রয়েছে। অর্থাৎ, ঠিক যেভাবে নিয়োগসংক্রান্ত রোল নম্বরের সঙ্গে থাকে সিরিয়াল নম্বর লেখা, ওই কাগজেও সেই আদলেই রয়েছে নম্বরও। এদিকে এই জঞ্জালে পড়ে থাকা একাধিক ফাইল রহস্য বাড়াচ্ছে। এই নোংরার স্তূপ থেকেই পাওয়া গিয়েছে কিছু শেয়ারের কাগজও। যেখানে সই রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই কাগজে ঠিকানা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে, কাঠুরিয়াপাড়া উত্তর বাকসাড়া। অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ঠিকানা।
এছাড়াও মিলেছে ২০১৩ সালের একটি শেয়ার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মও। যা বোর্ড অব ডিরেক্টরকে লেখা। বাবার নাম হিসাবে রয়েছে সাধনগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। কিছু কাগজ থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। আর এসবের মাঝেই পড়ে রয়েছে ওই নম্বর লেখা কাগজ। শুধু তাই নয়, একটি সিনেমার স্ক্রিপ্টও মিলেছে সেখানে। যে ছবিতে হৈমন্তীর চরিত্রের নাম পারমিতা।
এর আগে শুক্রবার ওই একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ছবির স্ক্রিপ্ট। এবার সেই নোংরা স্তূপ থেকেই উদ্ধার হয় সন্দেহজনক কাগজ দু’টিও। এই স্তূপে পড়ে রয়েছে কম্বল থেকে শুরু করে একাধিক বাক্স, বস্তা, আরও কিছু। পড়ে রয়েছে বিয়ের কার্ড, ফাইলও। সেখানে অধিকাংশ কাগজেই নাম লেখা রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও।