ডাম্পারে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। সকালে এমন এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতার ডি এল খান রোডে। মৃতার নাম মায়া রায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাম্পারটি ছিল কলকাতা পুরনিগমের। আর তারই চাকায় পিষ্ট হন বছর ষাটের মায়া দেবী। একইসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা এও জানান, প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এই মহিলাকে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ডাম্পারটি। ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ওই মহিলার। তিনি ডি এল খান রোড সংলগ্ন বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কলকাতা পুরনিগমের এই ডাম্পার চালকের ক্ষেত্রেও অভিযোগ আনেন। জানান, বেপরোয়াভাবে ডাম্পারটি চালানো হচ্ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এক বাসিন্দা বলেন, ‘দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় আমাদের। এখানে কোনও বাস ঢুকতে দেওয়া হয় না। বড় বড় ডাম্পার যাওয়া-আসা করে। আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। কোনও নিয়ম নেই। সিগন্যাল মানে না কোনও গাড়ি।’ পাশাপাশি ডি এল খান রোডও অবরোধ করেন বাসিন্দারা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার ডাম্পারটি ধনধান্য সেতুর দিক থেকে রেসকোর্সের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা মায়া দেবী। সূত্রে এও জানা গেছে, প্রতি শনিবার করেই রাস্তার শেষ প্রান্তে থাকা একটি মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন তিনি। সেই নিয়মমতোই এদিনও সকালবেলা পুজো দিতেই যাচ্ছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। দ্রুতগতিতে আসা গাড়িটির সামনে পড়ে যান ওই মহিলা। ডাম্পারটি বেশ খানিকটা রাস্তা হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে এও জানা গেছে, মায়া দেবীর স্বামী কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।