উপনির্বাচনের তিন দিন আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অপসারিত করা হল সাগরদিঘিরওসিকে। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, সাগরদিঘির ওসি অভিজিৎ সরকার নির্বাচনের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। তার জায়গায় জেলা থেকে অন্য ওসি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা সাগরদিঘির ওসি অভিজিৎ সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না।সেইসঙ্গে কমিশন আরও জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে অন্য কোনও অফিসারকে সাগরদিঘির ওসি হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। পরবর্তী ওসি হিসাবে যিনি আসবেন তাঁকে জেলার অন্য থানা থেকে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও থানা থেকে কোনও অফিসারকে সাগরদিঘির ওসি করে পাঠানো যাবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির ওসির বিরুদ্ধে বাম, কংগ্রেস একাধিক অভিযোগ এনেছিল।তাদের বক্তব্য, এই পুলিশ অফিসার শাসকদলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছিলেন। কংগ্রেস কর্মী সাইদুর রহমানের গ্রেপ্তারির পরে হাইকোর্ট থেকে তাঁর জামিনের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল । সেই পয়েন্টটিকেই তুলে ধরে হাত শিবির। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সেসব কারণেই হয়তো এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।গত শুক্রবার সাগরদঘির যুব কংগ্রেস সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেন ন ওসি।প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠান অধীর চৌধুরী। সেই চিঠির পরেই এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যায় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের আসন। সেই আসনেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে সাগরদিঘি কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২ মার্চ।