হানিট্র্যাপের ফাঁদে ডিআরডিও-র আধিকারিক

ফের হানিট্র্যাপের ফাঁদে ডিআরডিও-র সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার। আর সেখান থেকেই মিলল পাকিস্তানকে তথ্য পাচারের অভিযোগ। এই ঘটনায় ওড়িশার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের এক আধিকারিককে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। ওডিশা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র বালেশ্বরের চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ-এ অর্থাৎ আইটিআর-এ কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, আর এই কেন্দ্র থেকেই ব্রহ্মস, পৃথ্বী বা অগ্নির মতো দূরপাল্লার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল পরীক্ষা করে ডিআরডিও। পরীক্ষা কেন্দ্রের তথ্যই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্টকে পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান।

তদন্তকারীদের দাবি, হানিট্র্যাপের জন্য ওই আধিকারিকের মোবাইলে নীল-ছবির ভিডিয়ো পাঠানো হয়। বিনিময়ে একাধিক তথ্য পাক এজেন্টকে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে ওডিশা পুলিশের আইজি (পূর্বাঞ্চল) হিমাংশু লাল জানান, অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে হানিট্র্যাপের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি আইজি এও দাবি করেন, পাক সেনার সদর দফতর রওয়ালপিন্ডিতে বসে ডিআরডিও-র ওই আধিকারিককে নীল ছবির ভিডিয়ো পাঠানো হয়। যে পাক এজেন্ট ভিডিয়োগুলি পাঠান, তাঁর কোড নাম ছিল কুইন-বি। আর এই কুইন-বি কে ডিআরডিও আধিকারিক কী কী তথ্য পাচার করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বালেশ্বরের পুলিশ সুপার সাগরিকা নাথ জানান, ‘অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তাঁর মোবাইল ফোনে চাঁদিপুর মিসাইল টেস্টিং রেঞ্জের বেশ কিছু ছবি মিলেছে। এগুলি পাক এজেন্টকে পাঠানো হয়েছে কিনা তা জানা নেই।‘

এদিকে এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিসাইল টেস্টিং রেঞ্জের ছবি পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে যাওয়া খুবই উদ্বেগের। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে সব সময়ই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি শত্রুর হাতে চলে যাওয়া কাম্য নয়। এদিকে আইএসআই খুব ভাল করেই জানে যে সিনিয়র টেকনিকাল অফিসারের কাছে প্রচুর পরিমাণে তথ্য থাকা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, বালেশ্বরে এই মিসাইল টেস্টিং রেঞ্জের খুঁটিনাঁটির খবর পেতে বারবার হানিট্র্যাপের চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর আগে ২০২১-এ একই অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − eight =