দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজার এলাকায় খোঁজ মিলল একসময় রমরমিয়ে চলা গোপাল দলপতির কোচিং সেন্টারের। স্থানীয় সবার কাছেই পরিচিত ছিল ‘গোপাল স্যারের কোচিং’ বলেই। কারও কারও কাছে তিনি গোপালদা। ২০০৪-২০০৫ সালে ওই কোচিং সেন্টারের রমরমা ছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। যেমন তেমন কোচিং সেন্টার নয়, এখানে চলত অঙ্কের প্রশিক্ষণ। তবে বর্তমানে সেই কোচিং সেন্টারের অস্তিত্ব নেই। দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজার এলাকায় পোস্ট অফিস রোডের এখন সেই বাড়ি এক বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নিয়োগের নামে নয় ছ’য়ের টাকা কি ঢালা হয়েছে এই গোপালের কোচিং সেন্টারে কি না তা নিয়েও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তবে বছর ১৫ আগে এলাকায় অঙ্কের স্যর হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোপাল দলপতি। সে সময় তাঁর কোচিং সেন্টারের রমরমাও ছিল। আপাতত ঝাঁ চকচকে বাড়ি হলেও, আগে এখানে পুরনো বাড়ি ছিল। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পড়াতেন গোপাল। সূত্রের দাবি, ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নেন। তবে আয় খুব খারাপ ছিল না গোপাল স্যরের। প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি ছাত্র ছিল কোচিং সেন্টারে। সে সময় নিয়মিত পড়াতেন গোপাল স্যর। সকাল-বিকেল পড়ুয়াদের হইচইয়ে মুখর থাকত এলাকা। স্যরেরও বেশ নাম ছিল। এলাকার লোকজন জানান, বছর দু’য়েক এই কোচিং সেন্টার চলে। তারপর বাড়ির মালিক মৃণাল দাশগুপ্ত গোপাল দলপতিকে কোচিং সেন্টার তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু কেন তুলে দেওয়া হয় গোপাল স্যারের কোচিং সেন্টার। অভিযোগ, শিক্ষকতা করতে করতে গোপাল দলপতি বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করেন। বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী এমনকী তাদের অভিভাবকের কাছ থেকেও টাকা ধার করেছিলেন। আর সেই পাওনা টাকার জন্য কোচিং সেন্টারে এসে তাগাদা দিতেন। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় অশান্তিও হতো। সেই ঝঞ্ঝাট এড়াতেই বাড়ির মালিক গোপাল দলপতিকে এখান থেকে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ।
বাড়ির মালিক মৃণাল দাশগুপ্তের দাবি, তাঁর কাছে কম্পিউটার সেন্টার খোলার জন্য টাকা ধার চান এই গোপাল দলপতি। এদিকে এ খবরও মিলছে, এক সময় এখানে গোপাল দলপতির বাবার চায়ের দোকান ছিল। সেই জায়গা থেকেই গোপালকে এই ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাড়ির মালিকের দাবি, এক সময় গোপাল তাঁর কাছ থেকে যে টাকা ধার নেন, পরে তা শোধও করেন। যেদিন সেই টাকা শোধ করবেন বলে এসেছিলেন, মৃণালবাবুর দাবি, সেদিন একটি পেল্লাই গাড়ি হাঁকিয়ে হাজির হন গোপাল।