নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টাও কাটেনি। এরই মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দিল্লির নবনির্বাচিত মেয়র শেলি ওবেরয়। কারণ,দীর্ঘ টালবাহানার পরে দিল্লির মেয়র নির্বাচন হয় বুধবার। এদিন রাতেই নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকে দিল্লি। পুরনিগমের সবচেয়ে শক্তিশালী স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের জন্য ভোটাভুটির সময়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দিল্লির কাউন্সিলররা। মারধর, জলের বোতল ছোঁড়া- কিছুই বাদ যায়নি। বিজেপি কাউন্সিলরের হেনস্থার মুখে পড়েন নয়া মেয়র শেলি ওবেরয়।
রীতি অনুসারে নতুন মেয়র নির্বাচনের পরেই শুরু হয় স্ট্যান্ডিং কমিটির ৬ সদস্যের ভোট। বুধবার বিকেলে শুরু হওয়া এই বৈঠকেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আপ ও বিজেপি সাংসদরা। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই ব্যালট বক্স ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কি, মারামারির সঙ্গে চিৎকার করতে থাকেন দুই শিবিরের নেতারা। জলের বোতলও ছোঁড়া হয় বিরোধী পক্ষের দিকে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সদ্য নির্বাচিত মেয়র শেলি ওবেরয়ও অশান্তির অভিযোগ আনেন। টুইটারে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ আনেন। টুইটে লেখেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমি যখন স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন করাচ্ছিলাম, সেই সময় বিজেপি কাউন্সিলররা আমার উপরে হামলা করার চেষ্টা করেন! এটাই বিজেপির গুন্ডাগিরি এবং এর সীমা এতদূর পৌঁছে গিয়েছে যে একজন মহিলা মেয়রের উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।’
এরই পাশাাপাশি আম আদমি পার্টির তরফেও টুইট করে বলা হয়, ‘অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির কর্পোরেটর শিখা রাই মেয়রের দিকে তেড়ে যান এবং তাঁর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে পুলিশে।’ অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও শেলি ওবেরয়ের দাবির সূত্র ধরেই বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আশ্চর্যকর ও অনস্বীকার্য ঘটনা।‘
প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল দিল্লিতে মেয়র নির্বাচন এর আগে তিনবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করলেও, প্রতিবারই শাসক দল আম আদমি পার্টি ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে বচসা, হাতাহাতির জেরে নির্বাচন বাতিল করতে হয়। বুধবারের নির্বাচনও যে শান্তিপূর্ণ ছিল, তা বলা ভুল। তবে তীব্র অশান্তির মাঝেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ১৫০টি ভোট পেয়ে দিল্লির মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন আপ প্রার্থী শেলি ওবেরয়।