মাধ্যমিকর পরীক্ষার দিন হঠাৎ-ই বদলে গেল শহিদ মিনারের পাদদেশে ধর্নামঞ্চের ছবিটা। অনেকাংশেই ফাঁকা শহিদ মিনারের কাছে সেই ধর্না মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো কম। হঠাৎ কেন এই পরিবর্তন সে ব্যাপারে আন্দোলনকারীরা জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কারণেই মঞ্চ ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। এই মঞ্চে আন্দোলনরত অনেকেই শিক্ষক কিম্বা শিক্ষাকর্মী। তাঁরা কাজে যোগ না দিলে ব্যহত হতে পারে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিচালনার কাজ। তাই বুধবার অনেকেই জেলায় ফিরে গিয়েছেন। এরপর পরীক্ষা শেষ হলেই আবার যোগ দেবেন আন্দোলনে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এক আন্দোলনকারী জানান, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাদের কোনও ক্ষতি হোক আমরা চাই না। মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠভাবে হয়, সেটাই আমরা চাই।’ তবে পরীক্ষা শেষ হলেই রাতে আন্দোলনকারীরা মঞ্চে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ -র দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে অনশন করছেন সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অসুস্থ হয়ে পড়লেও মঞ্চ ছাড়তে রাজি হননি তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে কোনওভাবেই মঞ্চ ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই অনশন মঞ্চ থেকে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে। অনশনরত ভাস্কর ঘোষকে অক্সিজেন সাপোর্টও দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার জন্য ৯ মার্চের ধর্মঘট পিছিয়ে ১০ মার্চ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বনাম সরকারি কর্মীদের এই সংঘাতে কোনওভাবেই যাতে পরীক্ষার্থী বা ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়টিতেই গুরুত্ব দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।