মহিলা কনস্টেবলের ধর্ষণের ঘটনার এসপির কাছে রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের ঘটনায় সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বাহিনীরই এক কোম্পানি কমান্ডারের বিরুদ্ধে। এদিকে এই ধরেষণের ঘটনায় ভবানীপুর থানায় কলকাতা পুলি্শে একটি ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের হয়। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জওয়ানকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ডও করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবার এ নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমার কাছে খবর এসেছে, এক মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন।’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরাও বলেন, ‘এসপিকে বলছি দেখতে। কাউকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’ এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতাকে কৃষ্ণগঞ্জের বিএসএফ ব্যারাক থেকে আনা হয় বিধাননগরের একটি সেনা হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে নির্যাতিতাকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। এরপরই ভবানীপুর থানায় নির্যাতিতা ওই কোম্পানি কমান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কলকাতা পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘জ়িরো এফআইআর’ করে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর তার রিপোর্ট কৃষ্ণগঞ্জ থানায় পাঠিয়েও দেয়। এদিকে পুলিশ সূত্রেখবর, ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত হয়েছে। নির্যাতিতাও এখন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার একটি বিএসএফ ক্যাম্পে এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। দেশকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তারাই যদি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায়, মহিলা কর্মীর চরম সম্মানহানি করে-তাহলে কী বার্তা যাবে দেশবাসীর কাছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার কী বলবেন?’ যদিও এ নিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ‘এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়, সেটাও বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন ওঁরা। বিজেপি একশো ভাগ নৈতিকতায় বিশ্বাসী। আমরা চাইব, চরম ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =