অবেশেষ জল্পনার অবসান। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে জিতল আম আদমি পার্টি-ই। যার জেরে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এই পুরসভা হাতছাড়া হল বিজেপির। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনবার স্থগিত হয়ে যায় এই নির্বাচন। এরপর বুধবার আদালতের নির্দেশ দিল্লি পুরসভায় মেয়র নির্বাচন হয়। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী রেখা গুপ্তাকে হারিয়ে দেন আপের শেলি ওবেরয়।
এদিকে সূত্রে খবর, বুধবার দিল্লির এমসিডি পুরভবনে মেয়র নির্বাচনের ভোটাভুটি হয়। ভোটের শুরুতে অশান্তিও হয়। বচসা ও হাতাহাতিতেও জড়িয়েছিলেন প্রার্থীরা। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ী হন কেজরিওয়ালের প্রার্থী। এদিনের এই এমসিডি মেয়র নির্বাচনে ১৫০টি ভোট পান শেলি। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রেখার ঝুলিতে যায় ১১৬টি ভোট। যার জেরে ৩৪ ভোটে জিতে যান শেলি। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে ২৫০ আসনের দিল্লি এমসিডি-র ভোট হয়েছিল। সেখানে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জেতে আপ। অন্যদিকে বিজেপি দখল করে ১০৪টি ওয়ার্ড। অন্যদিকে কংগ্রেস থেকে জয়ী হন ৯ জন।
তবে সমস্যা দেখা দেয় ভোটের পর মেয়র নির্বাচন নিয়ে।কারণ, এমসিডি-র মেয়র নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে লোকসভার ৭ ও রাজ্যসভার ৩ বিধায়কের। এছাড়া ভোট দিতে পারেন দিল্লির ১৪ জন বিধায়ক। অর্থাৎ এমসিডি-র মেয়র নির্বাচনে মোট ভোট ২৭৪ এবং ম্য়াজিক ফিগার ১৩৮। এদিকে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা মনোনীত ১০ সদস্যের ভোটাধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রার্থী শেলি। এরপরই শীর্ষ আদালতের তরফে এই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মেয়র নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না উপরাজ্যপাল মনোনীত সদস্যরা। এদিন ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেকটাই বেশি ভোট পান আপ প্রার্থী শেলি ওবেরয়। তবে এদিন নির্বাচনে একাধিক চমক অপেক্ষা করে রয়েছে বলে দাবি করেছিল গেরুয়া শিবির। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনও চমকই দিতে পারেনি বিজেপি।
শেলি ওবেরয় মেয়র নির্বাচিত হতেই উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় আপ প্রার্থাীদের। এমসিডি পুরভবনের সামনেই আবির খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা। ভোটে জেতার পর শেলি ওবেরয়কে শুভেচ্ছা জানান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।সঙ্গে এ বার্তাও দেন, ‘বিজেপির সব চক্রান্তের অবসান হল। দিল্লিবাসীকে উন্নত পরিষেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে আপের বোর্ড।’