বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক। এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বনধের ডাক দিযেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বনধের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার কথা জানান বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ডেরা। এদিকে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বনধ নিয়ে হুঁশিয়ারির বার্তা দেন। হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হল বনধ প্রত্যাহারের ঘোষণা। তবে এই বনধ ঘোষণার পরই ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে পারেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা তা মাথায় রেখে মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাহাড়ে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুধু দার্জিলিঙেই ৯০০ পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু, সাধারণ মানুষ ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তামাংরা নিজেরাই বনধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিনয় তামাংরা জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে বনধ তুলে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও নিজেদের দাবি থেকে তারা সরছেন না, তাও জানিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। প্রসঙ্গত, মাধ্যামিক শুরুর প্রথম দিনেই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল শৈলশহরে। এদিকে বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতেই ক্ষুব্ধ বিনয় তামাং ও অজয় এডয়ার্ডের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। তারই জেরে জিটিএ সদস্যরা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বনধের ডাক দেন। এই প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে ও গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই দার্জিলিংয়ের গোর্খা রাঙা মঞ্চ ভবনে প্রতীকী অনশনে সামিল হন জিটিএ-এর নয় নির্বাচিত সদস্য। আর এই পাহাড়ে বনধের খবর কানে আসতেই সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সভা থেকে তিনি তামাংদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন বনধের সিদ্ধান্তের কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। বনধ বিরোধী পলিসির কথা সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, ‘আইন হাতে তুলে নিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’ এদিকে এদিকে পর্যটন মরশুম শুরু আগেই ফের উত্তপ্ত পাহাড়।