‘শিবসেনার নাম ও দলীয় প্রতীক একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে টাকার খেলা হয়েছে।দেওয়া হয়েছে ২ হাজার কোটি ঘুষ।’ টুইটে এমনই এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন সাংসদ তথা উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় রাউত।সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। এখনও আরও অনেক চমক অপেক্ষা করে রয়েছে। সময় এলেই সব কিছুর প্রমাণ দেব।’ আর সঞ্জয় রাউতের এই দাবি, যা নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি করল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, রবিবার এমন দাবি করে একটি টুইট করেন সঞ্জয় রাউত। টুইটে তিনি লেখেন, ‘শিবসেনার নাম ও দলীয় প্রতীক শিণ্ডে গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে বড় রকমের ডিল হয়।যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাথমিকভাবে আমরা এই তথ্য জানতে পেরেছি। আর এই তথ্য ১০০ শতাংশ সঠিক।’
এই ঘুষ দেওয়ার পিছনে কার হাত রয়েছে, এদিন তারও ইঙ্গিত দেন মহারাষ্ট্রের সাংসদ।রাউতের এই প্রসঙ্গে এও জানান, ‘যাঁরা দল ভাঙাতে বিধায়ক পিছু ৫০-৬০ কোটি টাকা খরচ করেন, এই চক্রান্তের নেপথ্যে তাঁদেরই হাত রয়েছে। শিণ্ডে গোষ্ঠীকে শিবসেনার নাম ও দলীয় প্রতীক তুলে দিতে তাঁরাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে ওই টাকা পৌছে দিয়েছেন।’ আর এখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, এক্ষেত্রে নাম না করে এককালের জোটসঙ্গী বিজেপিকেই নিশানা করেছেন রাউত। তবে রাউতের এই অভিযোগে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শিবসেনার নাম ও দলীয় প্রতীক ব্যবহার নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাল ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত দলের নাম ও প্রতীক তাঁর ছেলে উদ্ধব ও তাঁর অনুগামীরা ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।এদিকে এই দু’টি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার থাকা বিদ্রোহী একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীকে। অর্থাৎ প্রকৃত শিবসেনা বলতে এবার থেকে শিণ্ডে গোষ্ঠীকেই বোঝানো হবে বলে জানায় কমিশন।কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উদ্ধব ঠাকরে। সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। এদিকে সূত্রে খবর, উদ্ধব গোষ্ঠী আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল শিণ্ডে গোষ্ঠী। শিবসেনার উত্তরাধিকার নিয়ে রায় দেওয়ার আগে তাঁদের বক্তব্যও যেন শোনা হয়, এমনটাই আদালতের কাছে আর্জি জানান তাঁরা।