‘দরিদ্র উপভোক্তা এবং পড়ুয়াদের জোর করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবং গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের জন্য ৭০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। যার খরচ পড়েছিল আনুমানিক ৭৮ লাখ টাকা।’ রবিবার টুইটে এমনই এক এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, বাঁকুড়ার আরটিও-র সই করা বাসের তালিকার ছবি পোস্ট করেন তিনি।গত ১৭ ফেব্রুয়ারির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সাঁড়াশি আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পড়ুয়া এবং দরিদ্র উপভোক্তদের জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচে বাসের বন্দোবস্তও করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার কারণে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা বাতিল করা হয়, এমনটাও অভিযোগ ওঠে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার তারিখ বহু দিন ধরে নির্ধারিত হয়ে থাকলেও দু’দিন আগে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও পরীক্ষা বাতিলের কোনও সুস্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি। এই ইস্যুতেও সরব হয় গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বাঁকুড়ার বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, ওই সভার মাঠ ভরাতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে বাঁকুড়া ও পার্শ্ববর্তী পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে ৭০০টি বাস তোলা হয়। ওই বাসগুলির জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করা হয়েছে ৭৮ লাখ ১২ হাজার ৮১০ টাকা। এই প্রসঙ্গে সোনামুখির বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি শাসকদলকে বিদ্ধ করে জানানা, ‘যেখানে সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক সাংসদরা ডাক পান না, সেখানে রাজ্যের জন্য সর্বদলীয়ভাবে গলা ফাটাতে আমরা কেন দিল্লি যাব? জনগণের ট্যাক্সের টাকায় উনি প্রশাসনিক সভার নাম করে তৃণমূলের সভা করছেন।’এদিকে এরই প্রত্যুত্তরে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা কটাক্ষ করে বলেন, ‘ বিজেপি বিধায়ক যে কথা বলেছেন তা হয়তো ভেবেচিন্তে বলেননি।মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া সফরে এসে ১৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও ১৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন সেই কথা উনি বলতে পারলেন না। মানুষ এসব অভিযোগকে কোনও গুরুত্ব দেবে না৷’