সিবিআই স্ক্যানারে এবার শাহিদের দাদা শেখ আলি ইমামও। সূত্রে খবর, শাহিদের মেজ দাদা এই শেখ আলি।সূত্রের প্রাক্তন সেনা কর্মী শেখ আলি অবসরের পর রাজ্য সরকারের চাকরিতে যোগ দেন। কাজ করতেন নবান্নে। সেই শেখ আলি বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতে কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। স্থানীয় সূত্রে খবর, শেখ আলি ইমাম, এম.এস.সি, বি.এড, প্রাক্তন সৈনিক। আর এমনটাই নজরেও আসছে আরামবাগের সম্প্রীতি পল্লীর ‘স্বপ্ন মঞ্জিল’ বাড়ির নেমপ্লেটে। আরামবাগ শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর এলাকায় সম্প্রীতি পল্লী। আর এই বাড়িটি ‘মহারাজ’ ওরফে শাহিদ ইমামের পারিবারিক বাড়ি। সেই মতো পরপর নামও রয়েছে এই নেমপ্লেটে। আর এই নেমপ্লেটে ৩ নম্বরে নাম রয়েছে শেখ আলি ইমামের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আরামবাগে আদি বাড়ি থাকলেও সিংহভাগ সময় কলকাতাতেই থাকত শেখ আলি।হাওড়ার মন্দিরবাজারে ছিল তাঁর ফ্ল্যাট।তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও জানা যাচ্ছে।এদিকে সূত্রে খবর, নবান্নে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহায়ক হিসাবে কাজ করতেন তিনি।এদিকে এলাকায় ভাল ছেলে বলেই পরিচয় ছিল তাঁর।এদিকে গ্রেপ্তারির পর থেকেই তাঁর রঙিন জীবনের জন্য বারবার চর্চায় চলে আসছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই সহায়ক। আরামবাগের মুথাডাঙায় ওষুধের দোকান চালাতেন শাহিদ।এরপর তৃণমূল আমলেই পান প্রাইমারি স্কুলের চাকরি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল সম্পত্তির।এমনকী টাকাও ঢেলেছেন বলিউড-টলিউডেও।বর্ধমান শহরে রয়েছে তাঁর নিজস্ব ডান্সবার।শুধু তাই নয়, স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে টলিউডের একাধিক নায়িকার সঙ্গে।এদিকে শাহিদ-আলির বাবা হাসান ইমাম বাম আমলে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। আর এই মুহূর্তে এই পরিবারের দুই ছেলেকেই সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।