দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের একবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে তলব সিবিআই-এর । ফলে অস্বস্তিতে মণীশ সিসোদিয়া। রবিবারই সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে শনিবার নিজেই সিবিআই তলব ও তদন্তে সহযোগিতার কথা জানালেও রবিবার সকালে সিসোদিয়া সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন জানান। সূত্রের খবর, হাজিরার জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই আবেদনের পর সম্ভাবনা বেড়েছে গ্রেপ্তারির। প্রসঙ্গত, শনিবার রাত পর্যন্ত সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে নিশ্চিত থাকলেও, রবিবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের কাছে একটি চিঠি আসে। মণীশ সিসোদিয়ার তরফেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, চিঠিতে হাজিরার জন্য তিনি এক সপ্তাহ চান তিনি। তবে সূত্রের খবর, সিসোদিয়ার এই আবেদন গ্রহণ করবে না সিবিআই। তাঁকে আজই হাজিরা দিতে বাধ্য করা হতে পারে।
এদিকে শনিবারই মণীশ সিসোদিয়া নিজে টুইট করে জানান, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ফের একবার তাঁকে তলব করেছে। রবিবার তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এরপরই তিনি টুইটে লেখেন, ‘সিবিআই আমায় আবার ডেকেছে। আমার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডির সমস্ত ক্ষমতা ব্যবস্থা করেছে। আমার বাড়ি তল্লাশি করেছে, ব্য়াঙ্কের লকার তল্লাশি করেছে, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই মেলেনি। আমি দিল্লির শিশুদের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি শুধু। ওরা আমাকে থামাতে চায়। আমি সর্বদাই তদন্তে সহযোগিতা করেছি এবং আগামিদিনেও তা করব।’
এরপরই রবিবার সকালে তিনি জানান, দিল্লি সরকারের অর্থমন্ত্রী তিনি। বর্তমানে তিনি আসন্ন ২০২৩-২৪ সালের রাজ্য বাজেট প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আস্থা দিতেই তিনি বলেন, ‘এটা দিল্লির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যদি সিবিআই এক সপ্তাহের সময় দেয় হাজিরার জন্য, তবে ভাল হয়। ফেব্রুয়ারির শেষের মধ্যেই আমি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেব।’