দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে শ্যামবাজারে গান্ধি মার্কেটের কাছে তিনি ফুটপাথে জায়গা কিনেছেন এবং টাকা দেওয়া হয়ে গেলেও তাঁকে হকারি করার জন্য তাঁকে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। ‘টক টু মেয়র অনুষ্ঠান’-এ কলকাতার মহানাগরিকের কাছে এমনটাই অভিযোগ এক মহিলা হকারের। একইসঙ্গে ওই মহিলা আরও জানান যে, জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। মহিলার এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ফিরহাদ কলকাতা পুলিশকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। প্রয়োজনে তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা তিনি জারিও করবেন। এরই পাশাপাশি মহিলাকে স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি যাতে হকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই বন্দোবস্ত করা হবে বলেও আশ্বাসও দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেয়র আরও জানান, ‘কোনও হকারই নিজের ফুটপাথের জায়গা অন্য কাউকে বিক্রি করতে পারে না। এমনকী জায়গা ভাড়া দেওয়াও বেআইনি। আমি টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন করব। যে ব্যক্তি এই মহিলার থেকে টাকা নিয়েছেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’ এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও জানান, ‘হকার নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু নীতি রয়েছে। হকারদের দ্রুত পুরসভার তরফে লাইসেন্স দেওয়া হবে, কিন্তু জায়গা বিক্রি করা যাবে না।‘ একইসঙ্গে ফিরহাদ এও জানান, ‘বড়বাজার, চাঁদনি চক ও নিউ মার্কেট এলাকাতে হকারি করার জন্য চাহিদা বেশি। সেই কারণে আমরা দ্রুত সার্টিফিকেট তাদের হাতে তুলে দিতে চাই যাতে হকার ইউনিয়ন, পুলিশ বা অন্য কেউ তাদের থেকে টাকা চাইতে না পারে।’
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ‘টক টু মেয়র’চালু করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শহরের নাগরিকরা নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে নিজের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ নিয়ে সরাসরি মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এই প্রসঙ্গে হকার ইউনিয়নে নেতারা আরও জানান যে, কলকাতায় ফুটপাথের জায়গা বিক্রির চল রয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার ফুটপাথে আড়াই লাখ হকার বলে, যাঁদের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার জন শুধু খাবারই বিক্রি করেন। এদিকে ইউনিয়ন নেতারা জানিয়েছেন, করোনার সময়ে অনেকের ব্যবসা শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে শহরবাসীর অভিযোগ, গোটা শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় রাজপথের উপর বসেন হকাররা। শহরের মেট্রো স্টেশন লাগোয়া চত্বরে হকারদের আধিক্য অনেক বেশি দেখা যায়। ফুটপাথের পথ সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে পথচারীদের চলাচল করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়।