কলকাতায় জনসংযোগে মোদির দূত কেন্দ্রীয় ধর্মেন্দ্র প্রধান

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই যে এগোতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি তার স্পষ্ট প্রমাণ শনিবারের কলকাতায়  কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের জনসংযোগেই। কারণ, মাঝে সময় বলতে আর এক বছর। এবার আরও বেশি আসন বাংলা থেকে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। আর তাই সেই মতো নীল নকশাও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকেই। আর এই দায়িত্ব পাওযার পরই সোজা জনসংযোগে শনিবার থেকেই নেমে পড়েন তিনি। শুধু জনসংযোগ বললে ভুল হবে সংগঠনের হাল-হকিকৎ-ও এদিন খতিয়ে দেখে নিলেন তিনি। এদিনের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশে দেখা গেল বিজেপি উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকেও। আর এই জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি উসকে দিয়ে বলেন, ‘২৪-এ বাংলা থেকে বিজেপি জিতবে আরও বেশি আসন।’

শনিবারের বারবেলায় ধর্মেন্দ্র প্রধানের কলকাতা চষে ফেলার এই ছবি দেখে মনে হয়েছে সত্যিই দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। এদিন সকালে প্রথমে তিনি যান ভূতনাথ মন্দিরে। তারপরই মানিকতলা কেন্দ্রের এক মৃত বিজেপি কার্যকর্তার বাড়িতে উপস্থিত হন। নিম্নবিত্ত পরিবারের চৌকিতে বসে কথা বললেন বাড়ির লোকের সঙ্গে। সেখান থেকে যোগ দেন ভারতসভা হলে বিজেপি সংখ্যা লঘু মোর্চার কনভেনশনে। আর এই কনভেনশন থেকে তৃণমূলের আমলে রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। মমতার সরকারকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘এই সরকার যদি কারও অপমান করে থাকে, তা হল সরস্বতীর।’ চব্বিশের লোকসভার জন্য লড়াই যে তারা এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে, সে কথাও ঠারেঠোরে বিলক্ষণ বুঝিয়ে দেন ধর্মেন্দ্র।

এরপর মধ্যাহ্নভোজ সারতে সোজা পৌঁছে যান কাশীপুর বেলগাছিয়ার দাশ পাড়ায়। পথে বিভিন্ন শিব মন্দিরে গিয়ে পুজোও দিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে বেলগাছিয়ায় বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস। এরই মাঝে এক বাড়িতে নিরামিষ খাবার দিয়ে সারেন মধ্যহ্নভোজ। পাশাপাশি বাড়ির লোকদের সঙ্গে চলে গল্প গুজবও। এরপর-ই সোজা নকুড়ের মিষ্টির দোকানে। সব মিলিয়ে একেবারে নির্বাচনী জনসংযোগের মেজাজে মোদির দূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − six =