নন্দিনীর জায়গায় কী প্রাক্তন সিবিআই কর্তা রাকেশ আস্থানা, জল্পনা তুঙ্গে!

নন্দিনী চক্রবর্তীর জায়াগায় এবার কী প্রাক্তন সিবিআই কর্তা রাকেশ আস্থানা, এমন এক নাটকীয় মোড়ে দাঁড়িয়ে রাজ্য – রাজবন সংঘাত। রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসের  প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য-রাজভবন সূত্রে খবর, নন্দিনী পরবর্তী পর্বে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পরামর্শদাতা নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে রাজভবন। আর এখানেই রাজ্যাপালের পরামর্শদাতা হিসেবে নাকি নাম উঠে আসছে এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব প্রাক্তন সিবিআই কর্তা রাকেশ আস্থানার। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর পরামর্শদাতা হিসাবে তামিলনাড়ু প্রশাসনে কাজ করা এক বরিষ্ঠ আমলা শীলা সুব্রহ্মণ্যম ও রাকেশ আস্থানাকে এ রাজ্যে আনতে চান। রাজভবনে তাঁদের জন্য আলাদা অফিস ঘরও নাকি তৈরি হচ্ছে। আর এ সংক্রান্ত ফাইল নন্দিনী চক্রবর্তীর হাতে গেলে তখন নন্দিনী চক্রবর্তী তা আটকে দেন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই রাজ্যপালের সঙ্গে নন্দিনী চক্রবর্তীর সম্পর্কের অবনতি হয় বলে দাবি সূত্রের। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন রাজ্যপাল বোস। আর তখনই এই সোশ্যাল মেসেজে রাজ্যপাল এ বার্তাও দেন, নন্দিনীকে তাঁর প্রধান সচিব হিসাবে আর চান না বলেই।

এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজ্যপালের প্রধান সচিব হিসাবে ইতিমধ্যেই অব্যহতি দিয়েছে রাজভবন। তবে সূত্রের দাবি, নবান্ন এখনও সেই কাগজে সই করেনি। নন্দিনীর অব্যহতি নিয়ে কার্যত ধীরে চলো নীতিতেই হাঁটছে নবান্ন। রবিবার রাতেই নন্দিনীর অব্যাহতির বিষয়টি সামনে আসে। যদিও সূত্রের খবর, নন্দিনী সোমবারও রাজভবনে যান। এমনকী মঙ্গলবারও রাজভবনে নিজের দপ্তরে যান নন্দিনী এমনটাই সূত্রে খবর।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে নিয়ম মেনেই এ রাজ্যের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন। সে সময় পরবর্তী রাজ্যপালের সম্ভাব্য নামের তালিকায় ছিল রাকেশ আস্থানার নাম। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস রাকেশ আস্থানা ১৯৮৪-র গুজরাত ক্যাডারের অফিসার। সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ছিলেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল পদেও। পরে তিনি দিল্লি পুলিশের কমিশনারও ছিলেন। এরপর অবসর। তাঁকে বাংলায় আনা হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল সে সময়। যদিও তা হয়নি। তবে এবার রাজ্যপাল বোসের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে আনা হতে পারে বলে নতুন জল্পনা ভেসে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − sixteen =