নওশাদ সিদ্দিকিকে মন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে কেনার চেষ্টা হয়েছিল। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। মঙ্গলবার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে পথে নামেন বামেরা। এদিন দুপুরে পার্ক সার্কাস থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয় বামফ্রন্ট, আইএসএফ-সহ ১৮টি সংগঠন। মিছিলের নেতৃত্বে দেখা যায় ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম-এর এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ অন্যরা। এদিন মিছিল থেকে বিস্ফোরক দাবি করেন মহম্মদ সেলিম। সিপিাইএম-এর রাজ্য সম্পাদক জানান, ‘বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে মন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে, কোটি কোটি টাকার টোপ দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু, সেই উদ্দেশ্যে যখন সফল হয়নি তখন জেল হেফাজত বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছে। যাতে জেলের মধ্যে তাঁর ব্রেন ওয়াশ করা যায়। কিন্তু, করতে পারছে না। তাই ওদের রাগ হচ্ছে। বিরোধী দলের একমাত্র বিধায়ক, তাঁকে ওরা ভয় পাচ্ছে । কারণ বিরোধী কণ্ঠস্বর এরা চায় না। এরা শুভেন্দুর মতো নেতা চায়, যে পা ধরবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।‘
এদিকে বারুইপুর আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির জামিনের আবেদন। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। আদালতে নওশাদের আইনজীবী রাজ্য বাজেট অধিবেশনে তাঁর উপস্থিত থাকার পক্ষে সওয়াল করে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, নওশাদের আইনজীবীর কোনও সওয়ালেই কাজে আসেনি। বাজেট অধিবেশনের জন্য জামিনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না নওশাদ সিদ্দিকিকে। শুনানির শেষে এমন নির্দেশ দেয় আদালত। এই নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এদিকে প্রিজন ভ্যানের উপরে দাঁড়িয়ে নওশাদ সিদ্দিকিকে বলতে শোনা যায় ‘প্রশাসনের কাছে আমার মোবাইল ফোন দেওয়া আছে। মোবাইল ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখুন, দুধ কা দুধ, পানি কা পানি, সব আলাদা আলাদা হয়ে যাবে। আর কোনও প্রমাণ থাকলে আমার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালু করুন প্রশাসন।’
প্রসঙ্গত, আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধেছিল। তারপর ধর্মতলায় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে আইএসএফ-এর বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলা হয় বাম-আইএসএফ সহ ১৮ সংগঠনের তরফে।