৭ ফেব্রুয়ারি রোজ ডে দিয়ে শুরু।তারপর প্রোপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে অ্যান্ড কিস ডে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
হয়তো আপনি সিঙ্গল থেকে মিঙ্গল হতে পারেননি? কিম্বা প্রেম গেছে ভেঙে? ভালোবাসার মানুষ না বলেছে?
একদম মন খারাপ নয়। বরং ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনটাই নিজেকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। একটা কথা আছে জানেন তো, নিজেকে ভালোবাসতে না পারলে, অন্যকে ভালোবাসা যায় না।শুরুটা বরং করুন রোজ ডেতে নিজেই নিজের জন্য গোলাপ কিনে। লাল টকটকে গোলাপ বাড়ির ফুলদানিতে সাজালেও মনটা কিন্তু এক নিমেষে ভালো হয়ে যাবে।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে একলা কীভাবে উপভোগ করবেন? রইল টিপস
সোলো ট্রিপ– বেড়াতে কে না ভালোবাসে? বেড়ানো মানে হইচই ঠিকই, কিন্তু দ্বিধা ছেড়ে, ভয়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে বরং এই দিনটায় সোলো ট্রিপ শুরু করুন। নিজের সঙ্গে নিজে সময় কাটান। একদম নিজের ইচ্ছে মতো। কোনও বাধা নেই, অন্য কারও ইচ্ছের সঙ্গে আপোস করতে হবে না। দেখবেন,সোলো ট্রিপটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
লং ড্রাইভ- নিজে গাড়ি চালাতে পারলে লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ুন। নয়তো ভালো কোনও বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
অন্য রকম ভ্যালেন্টাইন্স ডে–
আচ্ছা ভালোবাসা মানে কি শুধু নারী-পুরুষের ভালোবাসা? এমন দিনে যদি কোনও বৃদ্ধাশ্রমে চলে যান, যেখানে বয়স্ক মানুষগুলো নাতি-নাতনিদের একবার দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন, তাঁদের সঙ্গে কি দিনটা উপভোগ করা যায়? একবার ভাবতে পারেন। কিম্বা কোনও অনাথা আশ্রমে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দিদি হয়ে দিনটা অন্যরকম ভালোবাসার অর্থে কি রঙিন করতে চাইবেন?
নিজের মতো সময় কাটানো– সকালটা শুরু করতে পারেন ছুটি নিয়ে, নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে। সকাল শুরু হতে পারে আপনার পছন্দের চা বা কফি দিয়ে। তারপর বানিয়ে ফেলতে পারেন মনের মতো ব্রেকফাস্ট। কিম্বা চাইলে পছন্দের কোনও রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্টা সারুন। তারপর যা মন চায়। স্পা, বডি ম্যাসাজ কিম্বা নিজের জন্য শপিং।
হাউজ পার্টি– মন খারাপ থাকলে ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে বাড়িতেই আয়োজন করে ফেলুন ঘরোয়া পার্টির। থিম রাখতে পারেন ডে অফ লভ।