শুক্রবারই টেট ২০২২-এর ফলপ্রকাশ হয়েছে টেট-২০২২-এর। ফলপ্রকাশ হলেও উত্তীর্ণদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। প্রশ্ন তাঁদের একটাই, চাকরিটা কবে হবে চাকরিটা। তবে এ ব্যাপারে পর্ষদ সভাপতি iqlc hen বারবারই জানিয়েছেন, ‘স্বচ্ছতাই এবার নিয়োগের শেষ কথা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে দ্রুত নিয়োগের পথেই হাঁটবেন তাঁরা।শুক্রবার ফল প্রকাশের পরও পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান, ‘বর্তমানে একটা নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন যাঁরা, তাঁদের নিয়োগ চলছে। ইতিমধ্যেই ১০টা জেলার নিয়োগ শেষ। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর এ বছরের জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে ভ্যাকেন্সি চাইব। পেয়ে গেলেই নতুনদের নিয়োগের বিজ্ঞাপণও দিতে পারব।’
গৌতমবাবু যে আশ্বাই দিন না কেন, ধর্মতলার ধর্নার চিত্রটা চিন্তায় রেখেছে ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের। কারণ, তাঁরা নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানতে পারেছেন টেট পাশ করলেও নানা জটিলতায় ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। শুদু তাই নয়, এর আগে ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালের নিয়োগসংক্রান্ত একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে। সেইসব মামলারও নিষ্পত্তি হতে হবে। তাঁরা চাকরি পাবেন আগে। তারপর তো ২০২২-এর নিয়োগ।
এদিকে শিক্ষামহল জানাচ্ছে, ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই তিন বছরের উত্তীর্ণদের নিয়ে একটাই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে নতুন করে শূন্যপদ চাওয়া হবে শিক্ষা দফতরের কাছে। দফতর শূন্যপদ দিলে সেই জায়গায় ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা চাকরি পাবেন। ফলে এটা খুব স্পষ্ট যে, বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। শুধু তাই নয়, সমতা বিধানের একটি কমিটিও ইতিমধ্যে গড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ, আগে যাঁরা টেট দিয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমিকের নম্বরের সঙ্গে ২০২২ সালে যাঁরা টেট দিয়েছেন তাঁদের নম্বরের বিস্তর ফারাক। আর এই ফারাক যে মেধার জন্য এমন নয়, পরীক্ষার ধরন, নম্বরের বিন্যাসও দায়ী। শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বাধীন এই নম্বর সমতা বিধানের কমিটি কী সুপারিশ করে, তাও গুরুত্বপূর্ণ।