মনজিৎ গ্রেওয়ালকে এবার দিল্লিতে তলব ইডির

বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দিল্লির সদর অফিসে তলব করা হল মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। বুধবার বালিগঞ্জে নির্মাণ সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিসে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি এই টাকার সঙ্গে ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টা ভাইয়ের যোগ রয়েছে। একইসঙ্গে ইডি-র তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলছিল। এরই পাশাপাশি বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল শরৎ বোস রোডে অবস্থিত সালসার গেস্ট হাউজ কেনার ক্ষেত্রে কয়লাপাচারের কালো টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। গেস্ট হাউজের বাজারমূল্য ১২ কোটি টাকা হলেও নথিতে ৩ কোটি দেখিয়ে বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাও সেই অর্থের অংশ বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই গোটা লেনদেন প্রক্রিয়ার সঙ্গে গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়াও জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির।

এবার এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে তলব করল ইডি। তাঁকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, মনজিতকে তাঁর সম্পত্তি ও পাঁচ বছররে ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত নথি সঙ্গে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মনজিতকে পাঠানো সমনে তাঁর যাবতীয় পরিচয়পত্রও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিগত ১০ বছরে কেনা সব সম্পত্তির নথিও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মনজিৎ যেখানে যেখানে বিনিয়োগ করেছেন, সেই সংক্রান্ত সব নথিও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সমনে ইডি জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে না আনলে মনজিতের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে ইডির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন মনজিৎ। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, গেস্ট হাউজ কেনার ব্যাপার কোনও কালো টাকার ব্যবহার করা হয়নি। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েই ওই গেস্ট হাউজ কিনেছিলেন বলে দাবি মনজিতের। এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টুইট করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে কার্তিক এও জানান, ‘কালীঘাটে পদ্ম ফোটাতে না পেরেই শুভেন্দু অধিকারী এই কাজ করছে। এমনকী শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন কার্তিক।’ তবে প্রকৃত ঘটনা কী তা জানাবে সময়ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =