শিয়ালদায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনা পথ দুর্ঘটনা ছিল না। খুনই করা হয়েছিল তাঁকে। আর তারই জেরে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এরপর আদলত থেকে তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওযা হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টা নাগাদ বছর ছাব্বিশের আয়ুষ জুলকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল শিয়ালদহ এলাকায় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে।রাস্তায় পড়ে থাকা এক যুবকের এই রক্তাক্ত দেহ দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনা নয়, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কারণ, আয়ুষের দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মেলে।
এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে পিটিয়ে খুনের কথা উল্লেখ করা হতেই ফুটপাথের কয়েক জন বাসিন্দাকে জিজ্ঞেস করে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তখনই সামনে আসে প্রকৃত ঘটনা। জানা যায়, খাবার নিয়ে আয়ুষের সঙ্গে গোলমাল হয় ফুটপাথের একটি পাইস হোটেলের কর্মীদের। এর পরেই তিন জন মিলে আয়ুষকে মারধর করে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজনের নাম অলোক চক্রবর্তী, অজয় দাস ও জয়ন্ত ভুঁইয়া। আর এই তিন জনকেই সরস্বতী প্রেসের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।সূত্রে খবর, অলোক ও অজয় এন্টালি মার্কেট সংলগ্ন তল্লাটের বাসিন্দা। জয়ন্তর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে হলেও সে এন্টালি মার্কেটের সামনেই ফুটপাথে থাকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, জয়ন্তর সঙ্গে প্রথমে গোলমাল শুরু হয় আয়ুষের। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে তিন জনের মারের চোটে আয়ুষ নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাঁকে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।