আশাকর্মীদের ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার স্বাস্থ্যভবনে

ফের উত্তপ্ত সল্টলেক। মঙ্গলবার আশাকর্মীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাদে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবন চত্বরে। এদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আশাকর্মীরা জমায়েত করেন স্বাস্থ্যভবনের সামনে। ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের ব্যানারে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তখনই আশাকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। আর তা থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যভবন চত্বর। মঙ্গলবারের ঘটনা এতটাই বড় আখার নেয় যে বেশ কিছুক্ষণ থমকে থাকে যানচলাচল। ঝামেলা আরও বাড়ে পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামলে। বিক্ষোভকারীদের আশাকর্মীদের দাবি, ‘২১ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দিতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় যে বাজেট হয়েছে, সেখানে আমাদের বঞ্চনা করা হয়েছে। আমাদের দিকটা কেন্দ্রকে দেখতে হবে। একের পর এক কাজের বোঝা আমাদের মাথার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এসব চলবে না।’ এরই রেশ ধরে আশাকর্মীদের তরফ থেকে এও জানানো হয়,  দিনের পর দিন তাঁদের দিয়ে নানারকম কাজ করানো হয়। কোভিডের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা সারাদিন মাঠেঘাটে থেকে কাজ করেছেন। দায়িত্ব থেকে তাঁরা পিছু হঠেননি। এমনকী সম্প্রতি আবাস যোজনার কাজেও তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের  কাজের জন্য তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ সেই দপ্তরের বাইরে গিয়েও কাজ করতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। এরপরও বঞ্চনার থেকে মুক্তি মেলেনি। পাশাপাশি আরও দাবি এদিন তাঁদের তরফ থেকে তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আর তা দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। এইরকম একাধিক দাবি তাঁরা সামনে আনেন। এদিকে এই গোলমালের মাঝে এক আশাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই বসতে চেয়েছিলাম। কেন্দ্র আমাদের বাজেটে কিছুই দিল না। আজ আমরা স্বাস্থ্যভবনে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। কথা বলছি, ভিতরে যাওয়ার জন্য টিম তৈরি করছি, আমাদের আটকে দিল। প্রথম থেকেই আটকে দেওয়ার মনোভাব পুলিশের।’ এরপরই রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিন পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে আশাকর্মীদের তরফ থেকে এও জানানো হয়, পুলিশি অনুমতি ছিল তাঁদের। আর সেই কারণেই তাঁরা এদিন এই ডেপুটেশন দিতে এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 5 =