জামিয়া হিংসায় ‘বলির পাঠা’ শারজিল, সফুরাদের মুক্তি দিল দিল্লির আদালত

‘ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই একটি রূপ।’ জামিয়া হিংসায় শারজিল, সফুরা –সহ ১১ জনকে বেকসুর খালাস করে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি আদালত। ২০১৯ সালে জামিয়া হিংসায় (Jamia Nagar Violence) অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা শারজিল ইমাম, সফুরা জারগর প্রমুখ।  এমনকী বলা হয়েছে, শারজিল, সফুরাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছে পুলিশ।

এর পরেও এখনি জেলমুক্ত হচ্ছেন না গবেষক শারজিল। এছাড়াও ২০২০-তে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UPA) ধারায় মামলা হয়। সেই মামলা এখনও চলছে। উল্লেখ্য, শারজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Millia Islamia)এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে (Aligarh Muslim University) বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। এর পরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

শনিবার দিল্লির সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বলেন, ‘এজেন্সিগুলির উচিত আসল দোষীকে ধরা, ভিন্নমত পোষণকারীদের নয়। এজেন্সি নিজের সুবিধার জন্য ভিন্নমত এবং দাঙ্গাকারীদের মধ্যে যে তফাৎ তা মুছে দিতে পারে না।’ পাশাপাশি, বিচারক ইমামের আইনজীবীর তর্কও মেনে নিয়েছেন। ইমামের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘আমার মক্কেল (শরজিল ইমাম) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন, হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − six =