আদালতের শরনাপন্ন হয়ে স্বস্তিতে রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ পরেশ রাওয়াল।কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত পরেশের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে বৃহস্পতিবার কলকাতার হাই কোর্টের তরফ থেকে পরেশকে এ নির্দেশও দেওয়া হয় যে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজির থাকতে হবে তাঁকে। প্রসঙ্গত, গুজরাতের এক জনসভায় বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল পরেশের বিরুদ্ধে। তারই প্রেক্ষিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তালতলা থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরেশকে তলব করে কলকাতা পুলিশ।তবে সেই তলবে হাজিরা দেননি এই বলিউড অভিনেতা। এরপর ফের সমন পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। সেই সমন থেকে বাঁচতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরেশ। এরপই এই মামলার শুনানি হয় বৃহস্পতিবার। তাতেই এমন নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
বৃহস্পতিবারের কলকাতা হাই কোর্টে পরেশের হাজিরা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘পরেশ ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। আর কী কিছু প্রয়োজন আছে?’ এরই রেশ টেনে পরেশের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘মামলাকারী গুজরাতি বোঝেন না। কী হিসেবে এই মন্তব্য সেটা কিভাবে বুঝলেন?’ যদিও সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ভিডিয়ো কনফারেন্সে পরেশকে পুলিশি জেরা সামনে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। পাশাপাশি আপাতত পরেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতেও বারণ করেন।
প্রসঙ্গত, গুজরাতে বিজেপির প্রচারে গিয়ে বা প্রকাশ্য জনসভায় পরেশ রাওয়াল বলেছিলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’ পরেশের এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক ছড়ায়। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কথা তুললেও বাঙালির মাছ খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এক অসন্তোষ তৈরি হয় বঙ্গ সমাজে। পরে অবশ্য এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান পরেশ।