জামিন খারিজ হয়ে গেল আইএসআফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ ১৮ জনের। বুধবার আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালত এই রায় ঘোষণার পরই নওশাদ এবং অন্য আইএসএফ সমর্থকদের আইনজীবী জানান, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
গত একুশে জানুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরেই গ্রেপ্তার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা রাজ্যের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। এইদিনই এই একই ঘটনায় গ্রেপ্তার হন আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। এরপর তাঁদের তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তবে নওশাদ শিবিরের তরফে তাঁদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিনই সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের তাঁদের ফের তোলা ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তবে এদিনও মিলল না জামিন। ১৪ দিনের জন্য নওশাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অর্থাৎ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকছেন আইএসএফ নেতা। এদিকে মঙ্গলবারই কলকাতার ভারত সভা হলে নওশাদের মুক্তির দাবিতে এক গণ কনভেনশন ডেকেছিল আইএসএফ । ওই কনভেনশনে বিজেপি এবং তৃণমূল ছাড়া প্রায় সব দলেরই প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরাও। সেখানে বক্তারা বলেন, বুধবার নওশাদদের মুক্তি না মিললে সারা বাংলা অচল করে দেওয় হবে আন্দোলনের মাধ্যমে। এদিকে আবার নওশাদের এই গ্রেপ্তারের পর পরই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা কলকাতা অচল করে দেওয়া হুমকি দেন। পীরজাদাদের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতের নওশাদদের মারধর করা হয়েছে। এর শেষ দেখে ছাড়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় আইএসএফ।