সোমবার মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবস ঘিরে রাজনীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কারণ, এবার মহাত্মা গান্ধির মৃত্যুবার্ষিকীর সঙ্গেও জড়িয়ে গেল রাজনীতি। কলকাতার বেলেঘাটায়া মহাত্মা গান্ধির মূর্তিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সিপিআইএম আর তৃণমূলের তরজা। সোমবার সকালে বেলেঘাটার গান্ধি ভবনে পূর্ব নির্ধারিত মাল্যদান কর্মসূচিতে পৌঁছন সিপিআইএম নেতৃত্ব। এর মধ্যে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্যদের। অভিযোগ, মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবসে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করতে বাধা দেওয়া হয় বাম নেতৃত্বকে। তৃণমূল নেতার পৌঁছনোর আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন মাল্যদান কর্মসূচিতে। আর সেই কারণেই তৃণমূলের তরফ থেকে আসে বাধা, এমনটাই অভিযোগ সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসুদের। এদিকে শাসকদলের অভিযোগ, নির্ধারিত সূচি মেনে মাল্যদান কর্মসূচি পালন করেনি সিপিআইএম নেতৃত্ব। এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্যে পুলিশকে ফোন করে ধমক দেন তৃণমূল নেতা, এমনটাও স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রশ্ন তোলেন, নির্ধারিত সময় মাল্যদান কর্মসূচির জন্য তৃণমূলকে দেওয়া হলেও কী ভাবে সিপিআইএম সেই সময় গান্ধি ভবনে প্রবেশ করল তা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে পুলিশের ব্যর্থতা বলেই উল্লেখ করেন তিনি। অবশেষে এরপর বাধা পেরিয়েই গান্ধি ভবনে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি শুরু করেন মহম্মদ সেলিম। পাশাপাশি বেলেঘাটার গান্ধি ভবনে ঢুকে মাল্যদান করতে করেন বাম নেতারাও। এরপর স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অলোকানন্দা দাস এই মাল্যদান কর্মসূচি পালন করেন। তবে এদিনের এই ঘটনায় সিপিআইএমকে বিদ্ধ করতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর কটাক্ষ, সরকারে থাকাকালীন কোনওভাবেই গান্ধি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।