এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা এবার গোপাল দলপতির খোঁজে। কারণ, ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র এজেন্ট তিনি। আর এই গোপাল দলপতির নাম মিলেছে তাপস মণ্ডল আর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরই। এদিকে এই গোপাল দলপতি আপাতত ‘নিখোঁজ’। ইডি সূত্রে খবর, গোপালকে এর আগে দিল্লি পুলিশ একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বছরখানেক আগে জামিনও পান তিনি। সূত্রের দাবি, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই খোঁজ নেই গোপাল দলপতির। তাঁকে নাগালে পেলে নিয়োগ বেনিয়মের মামলায় আরও তথ্য উঠে আসবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ইডি-র তদন্তকারীরা এটাও মনে করছেন, কুন্তলের মতো একই ভূমিকা গোপালেরও। দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি এই গোপাল দলপতি যুক্ত বলে অনুমান ইডির। অযোগ্যদের থেকে চাকরি দেওয়ার নামে গোপাল দলপতিও টাকা নিতেন বলে ইডির হাতে এমন বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু সেই টাকা গোপাল কাকে দিতেন, তাঁর মাথায় কে ছিলেন, এই সমস্ত উত্তরই জানতে চায় তারা। কিন্তু এখন গোপালকে হাতে পাওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তদন্তকারীদের। আর সেই কারণেই এবার আইনি পথে এগোতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে, ইডি এ নিয়ে ইতিমধ্যেই লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলেছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে গোপালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে চায় তারা। পরবর্তীতে লুক আউট নোটিসও জারি করা হতে পারে।
ইডি সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতি। পাশপাশি এও জানানো হয়েছে, তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার এই গোপালের নাম শোনা গিয়েছিল। সিবিআই, ইডির কাছে তাপসই প্রথম তাঁর কথা বলেন। এরপর হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরও গোপালের নাম করেছিলেন। এরপরই ইডি গোপাল দলপতির খোঁজ শুরু করে। জানতে পারে ‘নিখোঁজ’ তিনি। উঠে আসে দিল্লি পুলিশের হাতে গোপালের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টিও। এদিকে আবার তাপস মণ্ডল এর আগেই দাবি করেছিলেন, গোপাল দলপতিকে তিনিই পাঠিয়েছিলেন কুন্তলের কাছে। গোপাল তাঁর পূর্ব পরিচিত। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ বা টাকা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে এই গোপাল দলপতি মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছিলেন তাপস।