ফুল বদল করতে চলেছেন নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু, অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর। আর তা নিয়ে শুরু বিস্তর জল্পনাও। কারণ, তিনি জানান, এখন বিজেপি তৃণমূলের বি টিম হয়ে গিয়েছে। খেলতে হলে বি টিমের বদলে এ টিমে খেলাই ভালো। আর এই কারণেই আর বি-টিমে নয়, এ বার এ-টিমে খেলতে চাইছেন নেতাজির পরিবারের এই সদস্য। একইসঙ্গে চন্দ্র বসু এও জানিয়েছেন, ‘আমাকে অনেকেই বলেন, বি টিমে কেন আছেন, এ টিমে আসুন। এ টিমে এলে আপনি মানুষের কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন। সুযোগ পেলে বিষয়টি আন্তরিক ভাবে ভেবে দেখব।’
প্রসঙ্গত,নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিবসে সোমবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে। এরপর দিনই চন্দ্র বসুর মুখে শোনা যায় মমতার ভূয়ষী প্রশংসা। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘দেশে সাম্প্রাদায়িক রাজনীতি চলছে। বাংলায় এ সব চলে না। এটা আমি BJP নেতাদেরও জানিয়েছিলাম। নেতাজি সব ধর্মকে ঐক্যবদ্ধ আজাদ-হিন্দ-ফৌজ তৈরি করেছিলেন। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিশা দেখিয়েছেন। কখনও দেখিনি তিনি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছেন।‘
নেতাজি পরিবারের এই সদস্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিজেপিতে যোগ দেন। হাওড়ায় অমিত শাহের এক সভাতেই শাহের হাত থেকে তিনি নিজের হাতে তুলে নেন পদ্ম অঙ্কিত ঝাণ্ডাও। এরপরই ২০১৬ বিধানসভা ভোটে তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনেও লড়েন। পরবর্তীকালে চন্দ্র বসুকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদও দেওয়া হয়। তবে বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেডের সঙ্গে শুরু থেকেই তাঁর সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না। কোনওভাবেই যেন বনিবনা হচ্ছিল না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বর। এরপর দীর্ঘদিন তিনি নিজেকে অনেকটাই সরিয়েও নেন রাজনীতি থেকে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ছাড়ার কথা কখনও-ই ঘোষণা করেননি। সাম্প্রতিককালেও তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কার্যত কোনও সম্পর্কই নেই।
তবে চন্দ্র বসু বিজেপি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায় মুখ খোলেন বিজেপির-ই রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। কটাক্ষের সুরে জানান, ‘সুভাষচন্দ্র বসু শুধু ফরওয়ার্ড ব্লকের বা পশ্চিমবঙ্গের নন। তিনি ভারতের, গোটা পৃথিবীর। তাঁকে নিয়ে দোকানদারি মানুষ বরদাস্ত করে না। কে অনীতা পাফ, কে চন্দ্র বসু? দেশের সুভাষপ্রেমীদের কাছে এঁদের অস্তিত্বের কোনও স্বীকৃতি নেই।‘