শ্যামপুরের গোবিন্দপুরে মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে বাবাকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় শান্তনু হাপড়কে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তনুর গ্রেপ্তারির দাবিতে মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহ নিয়ে পথ অবরোধে সামিল হন এলাকার মানুষ। সেই সময় পুলিশ গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করা হয় যে, শান্তনুকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ওই অভিযুক্ত। এরপই মঙ্গলবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে শান্তনুকে গ্রেপ্তার করে শ্যামপুর থানার পুলিশ।
শান্তনুর সমপর্কে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শ্যামপুর বাগনান রোডে গোবিন্দপুর বড়িতলা মোড়ে শান্তনুর বাবার সাইকেলের দোকান। আর এই সাইকেলের দোকানের আড়ালেই চলে তার চোলাই মদের ব্যবসা। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন এলাকার মানুষ।তবে প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিয়োগ স্থানীয়দের। গোটা শ্যামপুর এলাকায় চোলাই মদ সরবরাহের পাশাপাশি শান্তনু নিজে দোকানের নিচেও মদের ঠেক চালায় বলে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা।
শ্যামনগরের স্থানীয় বাসিন্দারা শান্তনু সম্পর্কে আরও জানান, আগে শান্তনু আগে কলকাতার সিঁথির মোড়ে সোনার দোকানে কাজ করতো। এর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে শান্তনু চোলাই মদের ব্যবসা শুরু করে। ক্রমশ সে তার সাম্রাজ্য বাড়াতে থাকে। সকাল থেকে রাত প্রকাশ্যে চোলাই মদ বিক্রি করলেও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কারও ছিল না।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মূলত পুলিশের মদতে শান্তনু চোলাই মদের ব্যবসা করত বলে কেউ প্রতিবাদ করলে, তাঁকে হুমকি দিত, এমনকী তাঁর কপালে মারধর পর্যন্ত জুটত। এলাকার মানুষের অভিযোগ, কয়েক বছরে হঠাৎই শান্তনু কোটি টাকার মালিক হয়েছে।একাধিক গাড়ি সহ সম্পত্তি করেছে সে। এদিকে রবিবারের এই ঘটনায় যে কিল্টন বাগকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে শান্তনুর ভগ্নিপতি। তবে শান্তনুর পরিবারের লোকেদেরদাবি, আগে শান্তনু চোলাই মদের ব্যবসা করলেও এখন ওই ব্যবসার সঙ্গে সে আর যুক্ত নেই। এমনকী সে শান্ত স্বভাবের ছেলে বলেও দাবি করেন আত্মীয়রা। তবে রবিবারের ঘটনায় তারা সরাসরি কিল্টন এবং টিটনকেই দায়ী করেন তাঁরা।