কাঁথিতে নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় এবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা। এই মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার কররাও নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। এরপর অভিয়ুক্তকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুধু ধর্ষণ নয়, ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।তবে ছাত্রনেতা সহ তাঁর বাবা ও মায়ের নামে এফইআর করা হলেও কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে এই তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পরে নাবালিকাকে দিঘার হোটেলে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার মা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ওই ঘটনার পর থেকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বাড়িতেও লোক পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে পুলিশি তদন্তের গতি দেখে মঙ্গলবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় আদালতকে। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই পুলিশ অভিযুক্ত সম্পর্কে দুর্বলতা দেখাচ্ছে। অভিযুক্ত কোথায় আছে, পুলিশ সবটাই জানে। কিন্তু ইচ্ছে করে ধরছে না। পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব কোর্টের নজর এড়াচ্ছে না।’ এরপরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতে যে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।