সোমবারও পিছিয়ে গেল অনুব্রত মামলার শুনানি। ফলে আপাত স্বস্তিতেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা যখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ঠিক তখনই আচমকা বীরভূমের দুবরাজপুরে একটি পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সেই মামলার জেরে আর তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকে কোনও না কোনও কারণে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে অনুব্রতর মামলার শুনানি। সোমবারও সেই একই ঘটনা। ফলে আপাতত আসানসোল জেলে বন্দি হিসেবেই থাকতে হবে অনুব্রতকে। এদিকে আসানসোল আদালতেই চলছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর করা মামলা।
সোমবার বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে কোর্টে সওয়াল করেন। এদিকে বিচারপতি যশমীত সিং জানিয়ে দেন, যেহেতু ট্রায়াল কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তাই আপাতত শুনানি হচ্ছে না। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রোডাকশন ওয়ারান্টের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। এদিকে, আসানসোল আদালতে মামলা চললেও শেষ শুনানিতে জামিনের আবেদন জানাননি তৃণমূল নেতা। তবে, তাঁর রাইস মিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
এদিকে সম্প্রতি বীরভূমে শতাধিক বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই সব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তাঁরা। শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনেরও ওই অ্যাকাউন্টের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তদন্ত যেন শেষ হচ্ছে না।