ক্রমশই যেন ফাটল যেন আরও চওড়া হচ্ছে তৃণমূলের দুই বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাপস রায়ের মধ্যে। আর তা আরও প্রকট হল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়োজন করা পিকনিকে উত্তর কলকাতার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি তাপস রায় উপস্থিত না থাকায়। যদিও সূত্রে খবর মিলছে, এদিন উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বরানগরের বিধায়ক। এদিকে সূত্রে এও খবর মেলে যে, এদিনের পিকনিকে তাপস রায়কে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তবে এদিনের এই পিকনিকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় উত্তর কলকাতার একাধিক কাউন্সিলর ও সাংগঠনিক নেতাদের। ছিলেন কুণাল ঘোষ, শ্রেয়া পান্ডের মতো নেতারাও। যদিও বড়দিনে কেক উৎসবের ছবি দেখে মনে হয়েছিল সাময়িক দূরত্ব কমল সুদীপ-তাপসের। বড়দিনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস রায়ের ছবি নজর কাড়ে সকলেরই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দুই নেতার মধ্যে দ্বৈরথ কমানোর চেষ্টা হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে তাতে আখেরে যে লাভের লাভ কিছুই হয়নি তা যেন স্পষ্ট হয় রবিবারের এই পিকনিকে।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে দলের উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব যে মেটেনি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। পুজোর পরেই অক্টোবর মাসে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন দলের বিধায়ক এবং অন্যতম সিনিয়র নেতা তাপস রায়। বরানগরের বিধায়ক গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। এমনকী, সুদীপ এবং শুভেন্দু একই সময় তৃণমূল সাংসদ ঘনিষ্ঠ মধ্য কলকাতার এক বিজেপি নেতার বাড়ির পুজোতেও গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তাপস। পাল্টা জবাব দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোঁকে হাজার।’ দুই নেতার মধ্যে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি তৃণমূলের চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাংবাদিকরা তাপস রায়ের কাছে জানতে চান, তাঁর সঙ্গে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ঠিক হয়েছে কি না? জবাবে তাপস স্পষ্ট জানান, সম্পর্কে কোনও উন্নতি হয়নি। একইসঙ্গে এও জানান, দলের সাংসদের সঙ্গে সম্পর্কের মেরামতিতে তিনি আগ্রহী নন।