শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়েছে, আফতাব পুণাওয়ালার বিরুদ্ধে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করেছে ফেলেছে দিল্লি পুলিশ। চার্জশিট তৈরি হয়ে গেলেও কোনও রকমের তাড়াহুড়ো করতে নারাজ তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, চার্জশিট যাতে নির্ভুল হয় তার জন্য আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। চার্জশিট খতিয়ে দেখতে দেওয়া হয়েছে দুঁদে আইনজীবীদের। তাঁদের তরফে সবুজ সংকেত পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা করবে পুলিশ। চলতি মাসের একেবারে শেষে এই চার্জশিট আদালতে জমা পড়তে পারে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এ খবরও মিলেছে যে, মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে শ্রদ্ধার লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার। সঙ্গে প্রায় ১০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই চার্জশিটে। রয়েছে ফরেনসিক আর ইলেকট্রনিক তথ্য প্রমাণের উল্লেখও।
প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থাৎ ২০২২-এ দিল্লির ছতরপুর এলাকা থেকে শ্রদ্ধার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে নিহতের লিভ-ইন পার্টনার আফতাবকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, গত বছরের ১৮ মে প্রথমে শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। সূত্রের খবর, কী ভাবে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে এই ৩ হাজার পাতার চার্জশিটে। এদিকে তদন্তে নেমে ছতরপুর এলাকা থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পরে সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় ওই হাড় যে শ্রদ্ধার, তা জানা গিয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি এলাকা থেকে চুল এবং হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল। তারও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তাতে এগুলি শ্রদ্ধার বলেই জানা গিয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ থাকছে সমস্ত ডিএনএ রিপোর্টেরও।
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা খুনের অভিযোগে আফতাবকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর নারকো পরীক্ষা করা হয়। সূত্রের খবর, নারকো পরীক্ষায় আফতাবের স্বীকারোক্তিও চার্জশিটে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, নারকো টেস্টের রিপোর্ট এই মামলার ক্ষেত্রে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না।