ভাঙড়কে শান্ত রাখার নির্দেশ শাসক দলের

ভাঙড়কে শান্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হল শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে। ফলে রবিবার ভাঙড়ে  কোনও প্রতিবাদ সভা হবে না, এমনটাই নির্দেশ পাঠানো হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। এই নির্দেশ আসার পরই সমস্ত গোষ্ঠীর নেতারা যে মহা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন, তা বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও আইএসএফ এই নির্দেশ মানতে গররাজি। তারা তাদের অবস্থানে অনড়। আরাবুল ইসলামের গ্রেপ্তারি এবং শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদেও এদিন ভাঙড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় আব্বাস সিদ্দিকির দল। এদিকে, শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। এদিকে সূত্রে খবর, ভাঙড় এবং কাশীপুর থানাতেও গ্রেপ্তার হন কয়েকজন আইএসএফ কর্মী।

প্রসঙ্গত, শনিবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার ধর্মতলায় একটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ভাঙড় থেকে কলকাতা আসার পথে হাতিশালার কাছে ট্রাক থেকে নেমে রাস্তায় আইএসএফ-এর পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আইএসএফ সমর্থকদের বচসা বাধে। যা থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই দলের কর্মীরাই একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়। এরপর তা আরও বড় আকার নিতে থাকে। একসময় পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঘটনায় দুই দলের কর্মীরাই আহত হন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিকে, তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার।

এরপর ভাঙড়েরর উত্তেজনার আঁচ এসে পড়ে কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে। প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশের বদলে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ধর্মতলা অচল করে দেয় আইএসএফ। অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ধর্মতলা চত্বরে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের উপর ইটবৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেওয়া হয় মেট্রো চ্যানেলে কলকাতা পুলিশের পিকেট। এই ইটবৃষ্টির পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আর তাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। একাধিক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তারও করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও। সব মিলিয়ে শনিবার কার্যত এক রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − two =