‘আমি একটা টাকাও নিইনি।’ এজলাসে দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমি একটা টাকাও নিইনি। এক টাকাও আমার থেকে উদ্ধার হয়নি।‘ যদিও তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এই প্রেক্ষিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এ প্রশ্নও তোলেন, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, এখানে আমার ভূমিকা কী? আমি তো জেল থেকে বেরিয়ে শিক্ষা দফতরে ফিরে যাব না। আর কতদিন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলে সময় নেবে সিবিআই?’
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে জেলবন্দি। সঙ্গে চলছে সিবিআই তদন্তও। এদিকে বৃহস্পতিবার তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে ফের আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, এদিন আদালতে বিচারক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের স্লথগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানানো হয়, তদন্তের তিন ভাগ সম্পন্ন হলেও একভাগ কেন এখনও হচ্ছে না? তবে নবম-শম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পার্থকে আদালতে তোলার আগে কোনও সময়ে তাঁকে নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে আবার কখনও হাউ হাউ করে কেঁদেও ফেলেন। আবার কখনও ছলছলে চোখে বিচারকের কাছে জামিনের কাতর আবেদন করেন। এদিন নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক অর্পণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে হাত জোড় করে পার্থ বলেন, ‘সোশাল জাস্টিস মানে কী? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, তার সংজ্ঞা কী?’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে বন্দি রেখে চরিত্রহনন করা হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে কেউ আর মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবেন না। ওই পদে এ বার সিবিআই বা ইডি-কে বসিয়ে দিতে হবে।‘