খেলার মাঠ বিক্রি নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড, ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিক্ষোভ আরামবাগে

হুগলি: খেলার মাঠ বিক্রি নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড আরামবাগে। বিএলআরও অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ খেলাপ্রেমী মানুষ ও ক্লাবের কর্মকর্তাদের। হুগলির আরামবাগের গড়বাড়িতে খেলার মাঠ বলতে একটি। সেই মাঠটি নাকি গড়বাড়ি বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ। এই মাঠটি এক ব্যক্তি বেআইনিভাবে কিনেছে এমনটাই অভিযোগ ক্লাবের। অথচ ক্লাবের কেউই জানতেই পারেনিকে মাঠটাকে বিক্রি করল কে? কীভাবে? উঠছে প্রশ্ন! সেজন্য মাঠ বাঁচাতে ভূমি দপ্তর থেকে শুরু করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। সর্বত্রই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। এলাকায় খেলার মাঠ বলতে একটিই। এই মাঠে বহু বছর নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই মাঠেই খেলাধুলা করে আসছে এলাকার ছেলে-মেয়েরা। সেই মাঠটি অবৈধভাবে কিনেছেন আরামবাগের এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ। অজান্তেই দু’বার হেয়ারিং হয়েছে অথচ জানতে পারেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। মাঠ বাঁচাতে বুধবার হুগলির আরামবাগের ভূমি দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানালেন গড়বাড়ি বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তারা সহ সদস্যরা। মাঠ বাঁচাতে একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার মানুষ। গড়বাড়ি স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য প্রবীর কুমার রায় জানান, এই মাঠটা ১৯৭৮ সালে গরবারে বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের নামে রেকর্ড হয়। এখন আমাদের নামেই রেকর্ড আছে। এর মধ্যে প্রশান্ত ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি বলছেন মাঠটা তিনি কিনে নিয়েছেন। যে নামে ডিডটা সই স্বাক্ষর হয়েছে তাতে আমাদের গড়বাড়ি বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য নয়। সভাপতি সম্পাদক কেউই নয় বলেও জানান। অন্যদিকে প্রশান্ত ভট্টাচার্য নাকি দাবি করেছেন বেআইনি কিছুই নয়, আমার কেনা জায়গা এটা। এ প্রসঙ্গে আরামবাগ মহকুমা ভূমি সংস্কার আধিকারিক জানান, একটা মাঠ যেহেতু অনেকেরই স্বার্থ জড়িত আছে, সেটা মাঠ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। আমি চেষ্টা করছি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টা দেখার। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উভয়পক্ষকেই সমান সুযোগ দিয়ে তবেই বিষয়টির সমাধান হবে। এখন দেখার বিষয়টি কোন পথে এগিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =