আপাতত গ্রেপ্তার করা যাবে না বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিকে বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সঙ্গে আরও বাড়ানো হল চৈতালির সুরক্ষা কবচের মেয়াদ। আর এই মেয়াদ বৃদ্ধি হল তিন সপ্তাহ। প্রসঙ্গত, আসানসোলে কম্বল বিতরণ- কাণ্ডে এফআইআর করা হয়েছিল চৈতালির বিরুদ্ধে। সেই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেত্রী। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। ভুল ধারায় কেন মামলা রুজু করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এবার সেই মামলায় ফের একবার স্বস্তি পেলেন চৈতালি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে আসানসোল কম্বল-কাণ্ডে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিকে। তাঁর বাড়িতে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। এদিকে এদিন আদালতে আসানসোল নর্থ থানার আইসি ও আইও অর্থাৎ তদন্তকারী অফিসার জানান চৈতালি পুলিশকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ‘অভিযুক্ত সত্যি তথ্য নাও দিতে পারেন। কিন্তু পুলিশকে আসল তথ্য বের করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারে একটি সভার পর কম্বল বিতরণ করা হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পর কম্বল বিতরণ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন সহ তিনটি ধারায় একটি এফআইআর হয়। তাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি সহ মোট ১০ জনের নাম ছিল।এই ঘটনায় পুলিশ চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিল। অনুমতি পাওয়ার পর দুদিন পুলিশ গিয়েছিল চৈতালির বাড়িতে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের জেরে চৈতালি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
এদিকে আবার কম্বল-কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নামে নাকি তৃণমূল নেতারা টাকা তুলছেন। এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কাউকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগও তোলেন তিনি।