পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। সঙ্গে আকাশও থাকবে আংশিক মেঘলা।
এদিকে কলকাতায় বুধবারে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও পরে আংশিক মেঘলা ছিল আকাশ। তবে সকালে সন্ধ্যেয় মিলছে শীতের আমেজ । দিনের বেলায় শীতের আমেজ ধীরে ধীরে কমে যাবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৩ থেকে ৮৩ শতাংশ।
এদিকে উত্তরবঙ্গে তৈরি হয়েছে শীতল দিনের পরিস্থিতি। দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শুধু তাই নয়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায় দিনের তাপমাত্রা এতটাই কম থাকবে যে শীতল দিনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এদিকে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি। উত্তরের কোচবিহার আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এদিকে বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবেই সাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ঢুকছে। উল্টোদিকে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের প্রভাব ও থাকছে। এই কারণে পশ্চিমের দিকে জেলা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকলেও উপকূলের জেলাগুলিতে জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ।
আর এরই পাশাপাসি শুক্রবার ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে দিল্লি সহ পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলের রাজ্যগুলিতে। চরম শৈত্য প্রবাহ চলছে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে।