চাষের জমিতে জল না পেয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন আরামবাগের চাষি

জমিতে চাষের জন্য জল না পেয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন এক চাষি। ঘটনাটি ঘটেছে, আরামবাগ মহকুমার মইখন্ডে। জানা গিয়েছে, খানাকুলের মইখন্ডের এক চাষির চাষের জমিতে চাষ করার জল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হেলাল মইখন্ড সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। যদিও ওই সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা গেছে মইখন্ডের এক চাষির নাম সইদুল মণ্ডল। তিনি মইখন্ড এলাকায় ৪২ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এরপর সমিতি প্রথম অবস্থায় চাষের জলও দিয়েছিল। এরপর ওই সমিতি চাষির জমি দিয়ে অবৈধভাবে জলের পাইপ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। সৈদুলবাবু অবৈধভাবে পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি তোলেন এবং তা বন্ধ করে দেন। অভিযোগ সেই আক্রোশবশত সমবায় সমিতি ওই চাষির জল বন্ধ করে দেয়। ওই চাষির দাবি, দ্বিতীয়বারের জন্য জমিতে জল দেবার জন্য সমিতিতে বলতে গেলে তাকে চাষের জমিতে জল দেওয়া হবে না বলা হয়। এদিন জমিতে চাষের জল বন্ধ করে দেওয়ায় চাষি সইদুল মণ্ডল আরামবাগ মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার তিনি মহকুমা শাসককে একটি লিখিত আকারে অভিযোগ জানান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে চাষি সইদুল মণ্ডল জানান, জমিতে আমি চাষ করেছি সরিষা গাছ। জমিতে জলের প্রয়োজন, এমতাবস্থায় আমি মইখন্ড সমবায় সমিতিতে গেলে বলে জল দেওয়া যাবে না। জল না দেওয়ার ফলে গাছগুলো মরে যাচ্ছে এবং আমার জমি দিয়ে অবৈধভাবে জোর করে মিনির জল নিয়ে যাওয়ার লাইন করছিল। আমি বাধা দিয়েছিলাম। তাই এহ ভাবেই আমার প্রতি অত্যাচার করছে সমবায় কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে এই বিষয়ে খানাকুলের রামমোহন টু অঞ্চলের প্রধান টগরি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওনার পরিবারের মধ্যে সম্পত্তিগত বিবাদ রয়েছে। জল না পাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। পঞ্চায়েতে জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 4 =