ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে যোশীমঠের জে পি কলোনি। ভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে বসেছে যোশীমঠের আস্ত একটা পড়া। সূত্রের খবর, এই এলাকায় প্রায় ৩০ টি বাড়ি রয়েছে। যার অধিকাংশ বাড়িতে বড় ফাটল ধরেছে বলে খবর। জে পি কলোনি পরিদর্শন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে এই এলাকার ফাটল ধরা বাড়িগুলি আর মেরামতের করা সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।এদিকে ক্রমেই মাটিতে বসে যাচ্ছে যোশীমঠ শহর পুরোটাই। যার জেরে ঘরছাড়া কয়েকশ স্থানীয় মানুষ। সূত্রে এ খবরও মিলছে, ইতিমধ্যেই জে পি কলোনিতে বাড়ি ভাঙার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রঞ্জিত সিনহা এই প্রসঙ্গে জানান, কতগুলি বাড়ি ভাঙতে হবে তা চামোলির জেলাশাসককে সমীক্ষা করে দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। দ্রুত জানাতেও বলসা হয়েছে এই সংখ্যাও।তবে খবহর যা মিলছে তাতে যোশীমঠের জেপি কলোনিতে প্রায় ৩০ টি বাড়ি ভাঙতে হবে। ভেঙে ফেলা হবে কালভার্টও। কারণ, জেপি কলোনির মাটিতে ফাটল দিয়ে জল ওঠার ঘটনাও নজরে এশেছে বিশেষজ্ঞদের। এদিকে বিপজ্জনক এই সব নির্মাণ ভাঙার আগে সব পক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে।
সূত্রে খবর, যোশী মঠে সরলরেখা ধরে পরপর বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এদিকে এ খবরও মিলছে, সোমবারই যোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা। যোশীমঠে মাটি ফেটে কোথা থেকে জল আসছে তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। যোশীমঠের চারটি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ বিপজ্জনক বলেও জানান উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব।
এদিকে যোশীমঠে ফাটল ধরা বাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৯-এ। এরমধ্যে ১৬৫টি বাড়িকে ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে বহু বাড়িতে ফাটল ১ থেকে ২ মিলিমিটার বেড়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি এই প্রসঙ্গে জানান, স্থানীয়দের জন্য নিরাপদ বাসস্থানের খোঁজ চলছে।এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের দাবি, ফাটল ধরা বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে মানে সব ক্ষেত্রেই নতুন করে ফাটল তৈরি হয়েছে এমন নয়।