চণ্ডীগড়ে মেয়র পদে ১ ভোটে জয় বিজেপির

মেয়র পদ প্রার্থীর মাত্র এক ভোটে জয়। লড়াইয়ের শেষে হাসি বিজেপির মুখেই। চণ্ডীগড়ে মেয়র পদের নির্বাচনে মঙ্গলবার চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আপ প্রার্থী জসবীর সিংকে মাত্র ১ ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপি-র অনুপ গুপ্তা। সূত্রে খবর, ভোটের ফল ১৫-১৪। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় পুরসভায় ১৪ জন করে কাউন্সিলর রয়েছে আপ এবং বিজেপি উভয়েরই। এদিকে কংগ্রেসের কাউন্সিলরের সংখ্যা ৬। শিরোমণি অকালি দলেরও ১ জন কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু মেয়র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর। শিরোমণি অকালি দলের একজন কাউন্সিলর বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ায়, মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন অনুপ গুপ্তা।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদের চণ্ডীগড় পুরসভায় প্রতি বছর মেয়র নির্বাচন করা হয়ে থাকে। সেই নিয়ম অনুসারে মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিলই। সূত্রে খবর, পুরসভার ভবনেই ভোটগ্রহণ করা হয়। ফলে সকাল থেকে ভবন সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে প্রবেশাধিকারের উপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে জারি করা হয় নির্দেশিকা। কারণ, নির্বাচনকে ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানান চণ্ডীগড়ের জেলাশাসক বিনয় প্রতাপ সিং। মেয়র ছাড়াও ২ জন ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের ৩ পদের জন্য ভোটগ্রহণ করা হয় এদিন। ২০২২ সালে মেয়র ও ২টি ডেপুটি মেয়র পদের নির্বাচনে প্রতিটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পুরসভা নির্বাচনে ১৪টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পায় আম আদমি পার্টি। এদিকে বিজেপি জয়লাভ করে ১২টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস ৮টি এবং শিরোমণি ওকালি দল ১ ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলর হরপ্রীত কৌর বাবলা এবং গুরচরণজিৎ সিং কালা মেয়র নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিকে চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরণ খের-ও পুরসভার একজন পদাধিকার সদস্য। ফলে তাঁরও মেয়র নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার আছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জানুয়ারি দিল্লির পুরসভার নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মেয়র নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আপ এবং বিজেপির কাউন্সিলররা। হাতাহাতিতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর জখম হন। অবেশেষে পরিস্থিতি এমন জায়াগায় পৌঁছায় যে , সভায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্শাল ডাকতে বাধ্য হন প্রিসাইডিং অফিসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + five =