সুর নরম পাকিস্তানের, মোদির সঙ্গে বৈঠকে রাজি পাক প্রধানমন্ত্রী

‘আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে’, এমনটাই জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। কাশ্মীর-সহ  নানা সমস্যা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জরুরি বসতে রাজি পাক প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই সব ইস্যুতে খোলামনে আলোচনাও করতে চান তিনি।

এদিকে জঙ্গিদের উৎপাত বৃদ্ধি, বিপর্যস্ত অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ধুঁকছে পাকিস্তান। আর এমনই এক প্রেক্ষাপটে শরিফের এই মন্তব্য কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। গত নভেম্বরে তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পাক প্রধানমন্ত্রী এও জানাতে ভোলেননি, ভারতের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধ হয়েছে। তিনবারেই পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত হতাশা, দারিদ্র এবং বেকারত্বেও সামনে পড়েছে। এই প্রসঙ্গ টেনেই প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতীয় নেতৃত্বকে তিনি বার্তা দেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসুন।‘

সঙ্গে এও জানান, ‘আসুন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থাকি এবং উন্নয়নের পথে এগোই। পারস্পরিক বিবাদে অনেক সময় ও সম্পত্তির অপচয় হয়ে গিয়েছে।আসুন এখন শান্তিতে বসবাস করি।’ তবে এর জন্য আমাদের মূল সমস্যাগুলিকে মেটানো প্রয়োজন বলে দাবি পাক প্রধানমন্ত্রীর। ভারতের সঙ্গে সুস্থিতি বজায় রাখার প্রসঙ্গেই শরিফ এও জানান, ‘আমরা দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর এবং যথেষ্ট অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে।‘ একইসঙ্গে শরিফ এও জানান, ‘ঈশ্বর না করুন, যদি যুদ্ধ বেধে যায়, কে বলতে পারে, কী হয়ে যাবে।’ প্রসঙ্গত, পাক প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের একদিন আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর চিন এবং পাকিস্তানকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছিলেন।

এদিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ-সহ আন্তর্জাতিক সব স্তরে পাকিস্তানের জঙ্গি মদত দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরব হয়েছে ভারত। এখনও কাশ্মীরে জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও সেদেশে আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিম এখনও করাচিতে সেনা পৃষ্ঠপোষকতায় বাস করছেন, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। তবে এদিনের শেহবাজ শরিফের এই বক্তব্য সামনে আসার পর  রাজনৈতিক মহল এবং কূটনীতিবিদের ধারনা,আসলে সমস্যা জর্জরিত পাকিস্তানকে এখন ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে সেদেশের মানুষের সামনে ফের কাশ্মীরকে টোপ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন শরিফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + four =