আসানসোল: আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা ছাতা পাথর এলাকায় পরিত্যক্ত পাথর খাদান থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ। মৃতদের নাম বিজয় রাউত (৪৫), স্ত্রী মিঠু রাউত (৩৭), ছেলে কৃষ্ণা রাউত(১১) এবং দু’বছরের শিশু কন্যা লাডো রাউত। মৃতরা আসানসোলের লাল বাংলোর বাসিন্দা। মৃত বিজয় রাউত বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি রাত ১১টার নাগাদ সপরিবারে বিজয় বাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। পাঁচদিন পর রবিবার সন্ধ্যায় পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে চারটি মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। রবিবার সন্ধ্যায় তা দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের কাল্লা এলাকায়। আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত কাল্লা ছাতাপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত পাথর খাদানে চারটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহগুলোর মধ্যে রয়েছে ২ শিশুও।
রবিবার, মকর সংক্রান্তির সন্ধ্যায় স্থানীয়দের নজরে পড়ে চারটি দেহ ভাসছে কাল্লার এক পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে। খাদানটি প্রায় ৩০০ ফুট নীচে। সেখানেই দেহগুলি ভাসতে দেখা যায়। কীভাবে তাঁরা পাথর খাদানে পড়লেন, তা নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আসে উদ্ধারকারী দল। অনেক রাতে গভীর খাদান থেকে দেহগুলো উদ্ধার করা হয় দেহ। কীভাবে পাথর খাদানে ওই চারজন পৌঁছল? তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। অনেকে মনে করছেন, পাথর খাদানের উপরে ছোট্ট রাস্তা রয়েছে, সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় উপর থেকে তাঁরা পড়ে গিয়েছেন। নাকি স্নান করতে নেমেছিলেন তাঁরা? নাকি আত্মহত্যা? তা নিয়েই ক্রমশ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিপিআরডিও বা জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পাথর খাদানের জলে মৃতদেহ রয়েছে, এমন খবর পুলিশের কাছ থেকে পাওয়ার পরে উদ্ধারকারী দল তাদের উদ্ধার করে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল পুলিশ তদন্ত করছে।