মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য জুড়ে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ l প্রক্রিয়ার প্রথম দিনই কেশপুর থেকে প্রায় ১০০টি তাজা বোমা উদ্ধার হল। জানা গিয়েছে, মোট চারটি বালতিতে রাখা হয়েছিল বোমাগুলিl এতগুলো বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশপুর থানার ধলহারা ১৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় l রামপুরহাট কাণ্ডের পর কেশপুরের হুরুলুলুরডাঙা সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি তল্লাশি হতে পারে আশঙ্কা করেই কেউ বা কারা আগে ভাগে বোমাগুলি বাইরে রেখে দিয়ে গেছে বলে পুলিশ মনে করছে। বোমা মজুত রাখার খবর পাওয়ার পরই হুরুলুলুরডাঙা এলাকায় পৌঁছে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে কেশপুর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। মেদিনীপুর থেকে স্কোয়াডের সদস্যরা পৌঁছনোর পর বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে কয়েকটি জায়গা বোমা এবং বেআইনি অস্ত্র কারবারের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত তার অন্যতম এই কেশপুর। বর্তমানে এলাকায় বিরোধী শক্তি সেভাবেই না থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ শাসক দল। ফলে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি আত্মরক্ষার স্বার্থে দুই গোষ্ঠী মজুত করেছিল বলে এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন। বোমাগুলি কারা মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যাকাণ্ড স্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি রাজ্যে যেখানে যত বেআইনি বোমাগুলি রয়েছে, অবিলম্বে তা উদ্ধার করে নষ্ট করার কড়া নির্দেশ দেন। এরপরই আগামী ১০ দিনের জন্য সমস্ত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আসানসোল থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র l এরপরই শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। তার মধ্যেই কেশপুরে পাওয়া গেল চার বালতি তাজা বোমা।