শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউয়ের সময় সামনে এল আরও এক দুর্নীতির ঘটনা। এবার ভুয়ো কললেটার নিয়ে বিধানগরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ইন্টারভিউ দিতে হাজির চাকরিপ্রার্থী। সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম প্রীতম ঘোষ। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম ছিল না প্রীতমের। অথচ কললেটার নিয়ে শনিবার ইন্টারভিউ দিতে চলে আসেন তিনি। এরপর পর্ষদের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জানতে চান, তাঁর নাম কখন ডাকা হবে। এরপরই তালিকা মিলিয়ে দেখা যায় কোথাও তাঁর নাম নেই। এরপর সিস্টেমে চেক করেও পাওয়া যায়নি নম্বর। তাতেই সন্দেহ হয়। এরপর দেখা যায় কললেটারটিই ভুয়ো। ওই চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে আরও ২ জন ছিলেন। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে খবর, , প্রীতম ঘোষের পাড়ারই পরিচিত এক কাকার কাছ থেকে এই ইন্টারভিউ লেটার পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কললেটার তিনি পান বলেও সূত্রের দাবি।
এদিকে পর্ষদ সূত্রে খবর, শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে।প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গেই পর্ষদ অফিসে আসেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। কললেটার যাচাই করে দেখা যায় সেটি ভুয়ো। এরপরই তাঁকে আটকে তাঁর সঙ্গে আসা মেসোমশাইকে আসল অ্যাডমিট কার্ড দেখাতে বলেন। তখনই জানা যায় পাড়ার এক কাকার কাছে সেটি আছে। এরপর ওই ব্যক্তিকেও ডেকে আনা হয়। এরপর সামনে আসে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি। তবে সমগ্র ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশের তরফ থেকে। ঘটনাটির ওপর নজর রাখছে পর্ষদও।