শনিবার কাকভোরে কেঁপে উঠল ছাম্বাও

যোশীমঠে বিপর্যয়ের পর শনিবার কেঁপে উঠল ছাম্বাও।  ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে জানানো হয়, শনিবার ভোর ৫টা ১৭ মিনিট নাগাদ ছাম্বা জেলায় ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূ-কম্পনের মাত্রা  ছিল ৩.২।  ধর্মশালার ২২ কিলোমিটার পূর্বে ছিল এই কম্পনের উৎসস্থল। প্রসঙ্গত, শুক্রবার শুক্রবার রাতে ২টো ১২ মিনিটে নাগাদ কেঁপে ওঠে উত্তরকাশীর বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৯। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে যোশীমঠেও। ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে দেওযা তথ্য অনুসারে যোশীমঠ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। তবে কম্পনের মাত্রা কম থাকায় এই ভূমিকম্পের যোশীমঠের উপর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।

তবে বারবার হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে এই ভূমিকম্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়লে দেবভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বড় সড় বিপর্যয় ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল।  সেক্ষেত্রে যোশীমঠ ছাড়াও এর প্রভাব পড়বে যোশীমঠ পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও। ভূগর্ভে চলে যেতে পারে আশপাশের আরও একাধিক এলাকা। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে গত কয়েকদিন ধরেই যোশীমঠ জুড়ে ভয়ঙ্করভাবে দেখা দিয়েছে ফাটল। মাটি ফেটে নীচ থেকে উঠে আসছে কাদা-জল। একইসঙ্গে  যোশীমঠের ৭০০-র বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।ধসের জেরে রাস্তা ভেঙে চলে যাওয়ায় খাদের ধারে ঝুলছে ‘মালারি ইন’ ও ‘মাউন্ট ভিউ’-র মতো হোটেল। এই অবস্থায় ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়লে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো অধিকাংশ বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

গবেষকরা এও জানাচ্ছেন, তাঁদের আশঙ্কা ভারতের ম্যাপ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে যোশীমঠ। যে দিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে এই জনপদকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়।বাড়িঘর, দোকাপাট, হোটেল থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সবটাই ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে। এর মধ্যেই এঁদের এই শঙ্কায় সিলমোহর দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর  তরফে যোশীমঠ নিয়ে রিপোর্ট।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যোশীমঠ নিয়ে একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে ভারতী মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ওই উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে যোশীমঠের এলাকা। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আরও ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে যায় মাটি।এরপরই ইসরোর তরফে দ্রুত এলাকা খালি করে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি এবং হোটেল ভাঙার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − six =