ঘন কুয়াশার কারণে ক্রুজে গঙ্গাসাগরে যেতে গিয়ে হেনস্থা পর্যটকদরের। সূত্রে খবর, এক বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে শনিবার প্রায় ২০০ জন পুণ্যার্থীকে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার প্যাকেজ ট্যুরের কথা জানিয়েছিলেন। ওই বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে টাকা দিয়ে গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ভিন রাজ্যের অনেকেই। এর মধ্যে রয়েছে মূলত ঝাড়খণ্ড, মথুরা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে পুণ্যার্থীরা। শনিবার ভোর ৫টায় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে এই ক্রুজ ছাড়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে এই পুণ্যার্থীরা সেখানে পৌঁছেও যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, বেসরকারি সংস্থার কাউন্টার বন্ধ। কোনও কর্মীরও দেখা নেই। এরইমধ্যে কারও কারও ফোনে মেসেজ আসে ঘন কুয়াশার কারণে ক্রুজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুণ্যার্থীরা।
এদিকে এই পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রুজ বুক করেছিলেন তাঁরা। অনলাইনে বুকিং প্রক্রিয়া চলে। ই-টিকিটও কেটেছিলেন তাঁরা। সেই টিকিটের প্রিন্ট আউট সঙ্গে নিয়ে শনিবার মিলেনিয়াম পার্ক জেটি ঘাটে তাঁরা পৌঁছে যান। সকাল ৫টায় ছিল মিলেনিয়াম পার্কে পৌঁছনোর সময়। সকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এদিকে নির্ধারিত সময় পার করে গেলেও কাউকে দেখতে পাননি তাঁরা। এই লঞ্চ সরাসরি বেণুবনে যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রীদের দাবি, টিকিটবাবদ কারও কাছে দেড় আবার কারও কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এমনকী কারও কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৪ হাজার টাকাও। এদিকে এক পুণ্যার্থী জানান, ‘ভোর ৪টেয় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে বলছে ক্রুজ বাতিল। এখন ফোন করছি, ফোন ধরছে না। কুয়াশার কারণে যাচ্ছে না বলল। অথচ অন্য জলযান যাচ্ছে। এমনকী রিফান্ডের জন্যও সময় চেয়েছে। আমাদের থেকে তো ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। শুধু যাওয়ার জন্য। ৭ হাজারে যাতায়াত।’আর এই ক্রুজে ভ্রমণের জন্য অনেকেই সঠিক সময়ে পৌঁছাতে ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন উড়ান ধরেও। এদিকে এক এখজনের কাছ থেকে একএক রকম টাকা নেওযার কারণ হিসেবে যা সূত্রে খবর, এই টাকা ধার্য করা হয়েছে প্যাকেজ হিসাবে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলে তা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ।